১৫ দিন আগে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় উঠেছিল বগুড়ায়। এরপর ইনকিলাবসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হলে স্থানীয় জেলা প্রশাসন জোরদার করে বাজার মনিটরিং। ফলে ১০ টাকা কমে তা’ ৫০ টাকা কেজিতে নেমে আসে।
স্বস্তি নেমে আসে ভোক্তা পর্যায়ে। এরপর হিলি সীমান্ত হয়ে বগুড়ায় ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ বগুড়ায় আসলে আরও কমে যায় দর। তবে লকডাউনের পর শাটডাউনের ঘোষণা এবং বর্ষাকালীন বৃষ্টির অজুহাতে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। একলাফে ৫ টাকা কেজিতে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
কেন এই মূল্য বৃদ্ধি জানতে চাইলে বগুড়ার বৃহত্তর পাইকারি আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজকুমার জানান, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে ঘনঘন বৃষ্টি এবং সেই সাথে লকডাউনের কারনে পাবনা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া অঞ্চলের হাটবাজার থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ আসছে না। তাছাড়া নতুন করে শাটডাউনের সরকারি ঘোষণা এবং সম্ভাব্য কড়াকড়ির ভয়ে বহু ক্রেতা বেশি করে পেঁয়াজ কিনে রাখছেন। দেশি পেঁয়াজের সঙ্কট ও মুল্য বৃদ্ধির এটাই কারণ।
তবে ভোক্তারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের অজুহাতের শেষ নাই। নানান ছল ছুতাই তারা কোরবানির নিত্য পণ্য পেঁয়াজ ও মশল্লার দাম বাড়াবেই। কেবল সুষ্ঠু বাজার মনিটরিংই পারবে বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে অন্যকিছু নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন