জাল ওকালতনামা ও জামিননামা বিক্রির অভিযোগে মামলার আসামী দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। এমনটাই জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে তাদের বহিষ্কারের জন্য আবেদন করেছি। তবে এখনো বহিষ্কারের জন্য কোন নির্দেশনা আসে নাই। তবে যারা মন থেকে রাজনীতি করে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারন করে, তারা অপরাধ করতে পারে না। আর একটা কমিটিতে কে, কোথায়, কখন, কি করে সেটাতো প্রতিনিয়ত দেখার সুযোগ থাকে না। তবে অপরাধ যে করুক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। যদি আমিও অপরাধ করি, তাহলে আমাকেও ছাড় দেয়া হবে না।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল বলেন, আমাদের লিখিত অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর খুব শীঘ্রই তাদের বহিষ্কার করে দেয়া হবে। তাদের ব্যক্তিগত অপরাধ ছাত্রলীগ নেবে না। থানা পর্যায়ের যে ছাত্রলীগ নেতারা আছে, তারা আমাদের অধীনে। তবে আপরাধকে ছাড় দেয়া হবে না। সে ছাত্রলীগ করুক বা না করুক, অপরাধের সাজা তাকে পেতেই হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ অক্টোবর) জেলা আদালত পাড়া সংলগ্ন উকিল রোডের প্রমিস ফটোষ্ট্যান্ট নামে প্রতিষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতি নির্ধারিত ওকালতনামা, জামিননামা ও কোর্ট ফি জাল করে বিক্রির অভিযোগ উঠে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০টি জাল ওকালতনামা, ৫০টি জাল জামিননামা ও ৬৪০টি জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল আহম্মেদ রবিন ও সোহানুর রহমান শুভ্র। অভিযানে রবিনকে পুলিশ আটক করলেও সোহানুর রহমান শুভ্র ওরফে মিরাজ পালিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন