বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঝালকাঠিতে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙচুর আ.লীগ নেত্রী-বিএনপি নেতার নামে মামলা

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৮ পিএম

ঝালকাঠি সুগন্ধা পৌর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিস্কারের জন্য প্রস্তাবিত) শারমীন মৌসুমি কেকা ও শহর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপুসহ ১৭ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীতা মন্ডল বাদী হয়ে সোমবার ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক এ.এইচ.এম ইমরানুর রহমান ঝালকাঠি থানার ওসিকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ থাকলেও ১৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলায় প্রধান শিক্ষক রীতা মন্ডল অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তরপূর্ব কর্নারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রতীক ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরনে পাঁচলাখ টাকা ব্যায়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শহীদ মিনারে ছাত্রী ও শিক্ষকরা প্রতি বছর ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছিল। গত ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়া শারমীন মৌসুমি কেকা, আনিসুর রহমান তাপু ও ফতেমা শরীফের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরও ১২-১৪ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যাক্তিরা সুগন্ধ্যা পৌর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভেঙে মাটির সাথে গুড়িয়ে। স্থানীয় কিছু লোকজন ও কয়েকজন অভিভাবক শহীদ মিনার ভাঙার কারণ জানতে চাইলে ও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আসামিরা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে সকলকে সরে যেতে বাধ্য করেন।
বাদীর আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনার একটি গুরত্বপূর্ণ স্থাবর সম্পত্তি। আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বিঘœ করে ইচ্ছাকৃতভাবে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনার ভাঙচুর করে মারাত্মক অপরাধ করেছে। যা দ্রুত বিচার আইনে বিচারযোগ্য বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন মৌসুমি কেকা ও বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান তাপুর বিরুদ্ধে এক নারীকে চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলা দায়েরের পরপর ক্ষমতাসীন দল থেকে শারমিন মৌসুমি কেকাকে বহিস্কারের দাবি ওঠে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভায় কেকাকে দল থেকে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে সুপারিশ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন