থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চেন ওছাকে পদত্যাগের জন্য তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীরা। জবাবে সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার কথা জানিয়েছে। দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেও আন্দোলন-বিক্ষোভ তো কমেইনি, বরং আরো বেড়েছে। রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের দমানো যায়নি। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ-মিছিল করছে। গত তিন মাস ধরে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন।
তাদের দাবি, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চেন ওছা জালিয়াতি করে ভোটে জিতেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে এবং সেটাও তিনদিনের মধ্যে। তার কাছে ইস্তফার ফর্ম পাঠিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, তিনদিন সময় দেয়া হলো। তার মধ্যে তাকে সরে যেতে হবে। না হলে আবার বিক্ষোভে নামবেন তারা।
এদিকে থাই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘তিনি প্রথমে উত্তেজনা কমাবার চেষ্টা করবেন। এমনকি তিনি জরুরি অবস্থা তুলে নিতেও রাজি।’ তবে বিক্ষোভের এক প্রধান নেত্রী জানান, তারা মত বদল করছেন না। বিক্ষোভের রাস্তা থেকেও সরছেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা না দিচ্ছেন, ততক্ষণ বিক্ষোভ চলবে।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি হলো, রাজতন্ত্রের ক্ষমতা কমাতে হবে। থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বললে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা আছে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র : এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন