করোনা'র এই সময়ে বাংলাদেশের নাট্যচর্চা স্থবির হয়ে পড়েছিল। নাট্যচর্চার ধারাকে সমুন্নত রাখতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে জাতীয় নাট্যশালা খুলে দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে থিয়েটারে এসেছে সৃষ্টির জোয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় সমসাময়িক সংকটের গল্প নিয়ে ও রুফটপ থিয়েটার ধারণা নিয়ে গবেষণার অংশ হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগিতায় ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স কোয়াটারের ছাদে মঞ্চস্থ হবে এনভায়নমেন্টাল থিয়েটার "প্যারানরমাল"। থিয়েটারটি নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক মো. মাজহারুল হোসেন তোকদার।
থিয়েটারটিতে অভিনয় করছে ১১ জন অভিনেতা। তাদের মধ্যে ২ জন শিক্ষক আসিফ ইকবাল আরিফ ও নাহিদুল ইসলাম। ২ জন শিশু আবিদ ও ইয়াসিন, আর ৭ জন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী সামি, রাজন, আরাফাত, মঈন, নাঈম, ইমরান, পিয়াস, তরু।
করোনা স্বস্থ্যবিধি মেনে মঞ্চায়ন করার কারণে প্রতি প্রদর্শনীতে দর্শক রাখা হয়েছে মাত্র ১৫ জন।
উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।
নাটকের গল্পে দেখা যায় একটি বাসার ছাদে ৬ জন ভূত আখড়া বানায়। সেখানে একজন তরুণীর উপর ভূতের আছড় পরে। তরুণীর বাবা একজন ফকিরকে ডাকেন ভূত তাড়ানোর জন্য। ফকির একে একে ৬ টি ভূত হাজির করে। শিশু দুই ভূতকে বোতলে বন্দী করে। অন্য চার ভূতদের মেরে মেরে ঠান্ডা করে। তারপর বড় চার ভূত একে একে তাদের মৃত্যুর কারণ, তাদের অতৃপ্ততার গল্প শোনায় আর মরে যায়। যেখানে খুন, ধর্ষণ, যুদ্ধ ও করোনা'র গল্প উঠে আসে। ফকির ভাবে ভূতেরা মরে গেছে, কিন্তু ভূতেরা মরে না, তারা ফকিরের সবকিছু লন্ডভন্ড করে বেরিয়ে যায়। তরুণী, সুস্থ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন