শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবাস জীবন

বার্মিংহাম লজেলস উইলস্ট্রিট জামে মসজিদে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালিত

যুক্তরাজ্য সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২০, ৪:২৬ এএম

ইউকে বার্মিংহাম লজেলস উইলস্ট্রিট বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বাদ জুহর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট আলহাজ আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আলোচনা সভা ও দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হুসাম উদ্দিন আল হুমায়দী।

উক্ত মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মসজিদের ছানি ইমাম ক্বারি মোজাম্মিল আলী, মসজিদের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজী হারুন মিয়া, সেক্রেটারি আলহাজ আজির উদ্দিন (আবদাল), ওরগেনাইজিং সেক্রেটারি হাজি মালেক আহমদ, মসজিদের মুয়াজ্জিন মোঃ মাসুক মিয়া প্রমুখ।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আয়োজিত মাহফিলে বক্তারা বলেন, বিশ্বনবীর আগমনে সমগ্র জাহান আইয়্যামে জাহিলিয়াতের অন্ধকার থেকে ইসলামের সুমহান আদর্শে আলোকিত হয়ে ওঠেছিল। তাঁর আগমনের পর মহান আল্লাহর মনোনীত শান্তির ধর্ম ইসলাম পৃথিবীতে কায়েম হয়ে সকল অন্যায়, অবিচার দূর করে আল্লাহর আইন চালু হয়েছিল। ফলে তৎকালীন সময়ে মানুষের মধ্যে মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন পরিলক্ষিত হয়েছিল। বক্তারা বলেন, বিশ্বনবী ছিলেন সারা জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ।

তাঁরা আরো বলেন, এ দিনটি আল্লাহর প্রিয় হাবিব ইসলামের শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পৃথিবীতে শুভাগমন ও জন্মদিন উপলক্ষে মুসলিম উম্মহার কাছে আনন্দের দিন হিসেবে উদযাপিত হয়। মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে পবিত্র কোরআন এবং হাদীস শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। তাঁরা বলেন, আমাদের জন্য উত্তম আমল হলো নবীজির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, খুশি উদযাপন করা, ইজতিমা তথা ধর্মীয় সমাবেশ, দরুদ-সালাম পাঠ করার আয়োজন করা, তাবাররুক পরিবেশন করা।

এই আমলসমূহ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সম্মিলিত ভাবে উদযাপন করা আল্লাহর রাসুলের প্রতি মহব্বতের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

তাঁরা মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে বলেন, অসংখ্য হাদীসের আলোকে প্রমাণিত, নবীজি স্বয়ং নিজের মিলাদ তথা জন্ম দিন পালন করেছেন, সাহাবায়ে কেরামও এ পূণ্যময় আমল উদযাপন করেছেন। আমীরুল মুমেনীন খলীফাতুল মুসলেমীন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (র.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ ও উদযাপন উপলক্ষে এক দিরহাম অর্থ ব্যয় করল সে আমার সাথে জান্নাতে বন্ধু হয়ে থাকবে। আমীরুল মুমেনীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (র.) এরশাদ করেছেন, যে মিলাদুন্নবীকে সম্মান জানালো সে ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করল। হযরত ওসমান জিন্নুরাইন (র.) এরশাদ করেছেন, যে মিলাদুন্নাবী উদযাপনে এক দিরহাম অর্থ ব্যয় করলো, সে যেন বদর ও হুনায়েন যুদ্ধে শরীক হল। আমীরুল মুমেনীন হযরত আলী (র.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবীকে বিশেষ মর্যাদা দিল, সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান সহকারে দুনিয়া ত্যাগ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

 

মাহফিলে ফ্রান্সে মহানবী (সাঃ) ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিনা শর্তে এই অপকর্মের জন্য সংশ্লিষ্টদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন