কুড়িগ্রামের উলিপুরে নবম শ্রেণীতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন ৪৯ বছর বয়সী এক ইউপি চেয়ারম্যান। জনপ্রতিনিধি হয়ে তৃতীয় বারের মত বিয়ে তাও আবার স্কুল শিক্ষার্থীকে। বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত রোববার রাতে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে। সরকার বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে নিজেই কিভাবে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করলেন তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দোলন গ্রামের প্রতিবন্ধী বাচ্চু মিয়ার ৯ম শ্রেণী পড়–য়া বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বন্নি আক্তারের উপর নজর পড়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং হতদরিদ্র মেয়েটির পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখাতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত রোববার রাতে মেয়েটির পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যানের সাথে তার বিয়ে দেন। ব্যক্তিগত জীবনে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের এক স্ত্রী ও কলেজ পড়–য়া এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে এর আগেও তিনি আরো একটি বিয়ে করলেও সেটি স্থায়ী হয়নি। চেয়ারম্যানের তৃতীয় বিয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলায় জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুজ্জামান জানান, ওই শিক্ষার্থী আমার স্কুলের মানবিক বিভাগের ৯ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। এ বিষয়ে বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর পিএসসি’র সার্টিফিকেট অনুযায়ী ২০ বছর বয়স। সে বিভিন্ন শ্রেণিতে একাধিকবার থেকে যাওয়ায় এখনো বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নতুন বউ কোন ক্লাসে পড়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, হবে নবম বা দশম শ্রেণি। তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিপক্ষরা বিষয়টিকে নিয়ে নানা ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন