ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হারবাল চিকিৎসক ডা. করিম মহাজন ও ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের শরীফপুর ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন। করিম উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের মো. ইস্রাফিলের ছেলে ও বেলাল ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।
দাগনভূঞা ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার রাতে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিত ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই কিশোরীর মা জাহানারা বেগম জানান, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বেতুয়া গ্রামের আলমগীরের বাসায় ধরে ভাড়ায় থাকেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হারবাল চিকিৎসক করিম মহাজন। অপরদিকে একা পেয়ে বেলাল হোসেনও তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে করিম মহাজন কৌশলে গর্ভপাত করান। ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে টাকা দিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, করিম মহাজন দীর্ঘ তিন বছর ধরে আমাকে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের ফলে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে গর্ভের সন্তান নষ্ট করেন তিনি। বেলাল হোসেনও তিন মাস ধরে আমাকে ধর্ষণ করে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন