মঞ্চ, সিনেমা এবং নাটক তিন মাধ্যমেই সমানতালে অভিনয় করে দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন অভিনেতা তুষার খান। অভিনয় জীবনের তিন যুগ পেরিয়ে অভিনেতা চার দশকে পা রাখতে যাচ্ছেন। ১৯৮২ সালে নাট্যদল ‘আরণ্যক’র সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। দলের প্রায় সবগুলো নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ইবলিশ’, ‘ওরা কদম আলী’, ‘সমতট’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘জয় জয়ন্তী’, ‘অববাহিকা’ ইত্যাদি। শাহ আলম দুলাল পরিচালিত ‘খেলা খেলা’ নাটকের বিভিন্ন মঞ্চায়নে এই নাটকের পাঁচটি চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। টিভি নাটকে তুষার প্রথম অভিনয় করেন ড. ইনামুল হকের গল্প অবলম্বনে একটি নাটকে। ১৯৯২ সাল থেকে পেশাদার অভিনেতা হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়। টিভি নাটকে প্রথম সাড়া ফেলেন ‘ইতিকথা’ নাটকে অভিনয় করে। নাটকটি রচনা করেছিলেন মামুনুর রশীদ ও প্রযোজনা করেছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ। সিনেমায় তিনি প্রথম অভিনয় করেন চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘আজকের প্রতিবাদ’ সিনেমায়। সিনেমায় সাড়া ফেলেন মুহম্মদ হান্নান পরিচালিত সালমান শাহ’র সঙ্গে ‘বিক্ষোভ’ সিনেমায় অভিনয় করে। সালমান শাহ’র সঙ্গে পরবর্তীতে আরো বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেন তুষার। সালমান শাহ’র মৃত্যুতে তার সঙ্গে প্রায় বিশটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়া কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সিনেমা থেকে আবারো টিভি নাটকে ব্যস্ত হয়ে উঠেন তুষার। অভিনয়ের ক্ষেত্রে তুষারের পরিবারের কারোরই তেমন কোন সম্মতি ছিল না। তুষার বলেন, ‘আমার পরিবার ভীষণ কনজারভেটিভ। একদিন আমার বড় চাচা আমিনুল ইসলাম খান বলেছিলেন, তোর অভিনয়তো ভালোই হয়। তখন অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম, খুশী হয়েছিলাম। এটা সত্যি যে আমার অভিনয় জীবনের আজকের অবস্থানের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার গুরু মামুনুর রশীদের। তিনিই আমার অভিনয়ের অনুপ্রেরণা।’ অভিনয়ে এখনো অতৃপ্ত তুষার। বহু বছর আগে একটি প্রতিবন্ধী চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েও চরিত্রটি নিজের মনের মতো ফুটিয়ে তুলতে না পারার কষ্ট এখনো রয়ে গেছে। তাই আবারো এমন একটি চরিত্রে কাজ করার স্বপ্ন তার। এরইমধ্যে তুষার অভিনয় করেছেন ‘আগস্ট ১৯৭৫’ চলচ্চিত্রে। তুষার খান পরিচালিত একমাত্র টেলিফিল্ম ‘কচুরিপানা’। তুষারের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের কাঞ্চনপুর। ২৫ বৈশাখ জন্ম নেয়া তুষার খানের আসল নাম আশিকুল ইসলাম খান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন