পুরান ঢাকার লালবাগে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্কুলের জন্য বরাদ্দ জমিতে হাজী সেলিমের গড়ে তোলা মদিনা ফিলিং স্টেশনের একাংশ উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
গতকাল সোমবার সকালে কামালবাগ এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভাংচুরের পর উচ্ছেদ অভিযান দলটি বিকালে দিকে মদিনা ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ফিলিং স্টেশনের পূর্বপাশের গাড়ি ধোওয়ার একটি ছাউনি এবং পশ্চিম পাশে গাড়ি মেরামতের একটি টিনশেড ঘর ভেঙে দেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয়। হাজী সেলিমের দখলে থাকা একটি গুদাম ঘর। বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিং স্টেশনের যতটুকু বিআইডব্লিউটিএর সীমানায় পড়েছে ততটুকু ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় হাজী সেলিমের লোকজন ফিলিং স্টেশনে থাকলেও তারা কোনো ধরনের প্রতিবাদ করেননি। ফিলিং স্টেশনের সামনের দিকের পাম্পের শেডটি (গাড়িতে তেল ভরা হয় যেখান থেকে) উচ্ছেদ না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে বিস্ফোরক অর্থাৎ তৈল জাতীয় পদার্থ রয়েছে তাই ভাঙা হয়নি। উনারা নিজেই ভেঙ্গে নেবেন জানিয়েছেন।
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের জন্য স্কুল ভবন ও বধির কমপ্লেক্স নির্মাণে ২০০৫ সালে লালবাগের কামালবাগ এলাকায় এক একর জমি বরাদ্দ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। রেজাউল করিম বলেন, জমিটি সরকারের অকৃষি খাসজমি। এই জমিই ২০০৮ সালে দখলে নিয়ে হাজী সেলিম মদিনা ফিলিং স্টেশন গড়ে তোলেন বলে বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা জানিয়েছে। আগের দিন পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ। ওই এলাকায় মোট ১৬৫টি অবৈধ স্থাপনা ভাঙা হয়।
ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পুনর্দখল ঠেখাতে বিরতি দিয়ে অভিযান চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর বাবুবাজার এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন