শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

ঢাবি’র ৬ শিক্ষার্থীর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্বর্ণপদক লাভ

প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

২০১৫ সালের স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন ছাত্রীকে “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক” এবং ৫ জন ছাত্রীকে “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বৃত্তি” প্রদান করা হয়েছে। গত ৮ আগস্ট ২০১৬ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃতী ছাত্রীদের হাতে স্বর্ণপদক ও বৃত্তির চেক তুলে দেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শাহানা নাসরীন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঘাতকরা সেদিনই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাই বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোক সারাদেশের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বেশি।” তিনি বলেন, বঙ্গমাতা একজন গৃহবধূ হয়েও রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি ও ধীশক্তি সম্পন্ন ছিলেন। স্বাধীকার আন্দোলনসহ নানা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে তিনি বিরল প্রজ্ঞার নজির স্থাপন করেছেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধ শিশুদের পুনর্বাসনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি কৃতী ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরবি বিভাগের ছাত্রী মাসুমা “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল স্বর্ণপদক” লাভ করেছেন। বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন শাহাজাদী (ইসলামিক স্টাডিজ), মুনিরা বিনতে ইকবাল (লোক প্রশাসন), মুনিরা মাসরুরা (ইতিহাস), নাবিলা জাহান জয়ী (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) এবং সাদিয়াতুন রাস্না ইতি (উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ)।
ষ আসমা আহমেদ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন