ইথিওপিয়ার সংঘাতকবলিত তাইগ্রে অঞ্চলে ইরিত্রীয় শরণার্থীদের হত্যা, অপহরণ ও জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানোর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, যদি এ খবর সঠিক হয়, তবে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের বড় লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন, তাইগ্রের চার শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘের কর্মীদের অবাধে ঢোকার সুযোগ দেওয়া উচিত। ওই শরণার্থীদের জোর করে ফেরত পাঠানো পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্যও।
তাইগ্রেতে গত ৪ নভেম্বর থেকে সেখানকার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী। দেশটির সরকার বলেছে, তারা এখন এ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে এবং লড়াই শেষ হয়ে গেছে। তবে টিপিএলএফের নেতারা বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে গতকাল শুক্রবার ইথিওপিয়া সরকার বলেছে, তাইগ্রে থেকে রাজধানী আদ্দিস আবাবায় পালিয়ে আসা ইরিত্রীয় শরণার্থীদের সেখানকার শিবিরগুলোয় ফেরত পাঠাচ্ছে তারা।
গণমাধ্যমের বিভিন্ন খবরে বলা হয়, তাইগ্রের শিবিরগুলোয় প্রায় এক লাখ শরণার্থী বসবাস করছেন। রাজনৈতিক নিপীড়ন ও বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে কাজ করা থেকে রেহাই পেতে ইথিওপিয়ায় বর্তমান সংঘাত শুরুর অনেক আগেই দেশটিতে পালিয়ে আসেন প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার এসব শরণার্থী।
ইথিওপিয়ার সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই সব শিবির থেকে শরণার্থীদের একটি বড় অংশ বিচ্ছিন্নভাবে পালিয়ে আদ্দিস আবাবায় এসেছে। তাদের সেখানে নিরাপদে পাঠানো হচ্ছে। শিবিরে খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, আদ্দিস আবাবা থেকে শরণার্থীদের করুণ সহায়তার আহ্বান পেয়েছে তারা। শরণার্থীরা বলছেন, তাঁদের বাসে করে তাইগ্রেতে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সেখান থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আতঙ্কিত এক নারী শরণার্থী বলেন, তাইগ্রের স্থানীয় কিছু মানুষ তাঁর স্বামীকে পিটিয়েছেন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের হুমকি দিয়ে বলছেন, ‘তোমাদের দেশের মানুষ এখানে এসে আমাদের আক্রমণ করছে। আমরা তোমাদের মেরে ফেলব।’ সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন