রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

মোংলা বন্দরে গাড়ির নিলাম স্থগিত রাখার আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:০৬ পিএম

মোংলা বন্দরে আমদানি করা রিকন্ডিশনড গাড়ি নিলামের উদ্যোগ আগামী এক বছরের জন্য স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশনড ভেহিকেল ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার সেগুনবাগিচায় বারভিডা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘একটি মহলের স্বার্থ রক্ষার জন্য’ আমদানিকারকদের না জানিয়ে এধরনের নিলামের উদ্যোগ নিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

দেশে আমদানি করা গাড়ির অধিকাংশই সমুদ্রবন্দর হয়ে আসে। বন্দরে আমদানি শুল্ক পরিশোধের পাশাপাশি প্রতিটি বন্দরে অবস্থানের জন্য দৈনিক প্রায় ৩০০ টাকা করে ভাড়া গুণতে হয় আমদানিকরকদের।

ওই বন্দরে অপেক্ষমাণ পাঁচ হাজার গাড়ির মধ্যে অনেক গাড়ির অবস্থানকাল পাঁচ বছরেরও বেশি হয়ে গেছে। ২০১৮ সালের আগে বন্দরে ঢুকেছে এমন কয়েকশ গাড়ি স¤প্রতি নিলামে তুলেছে কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হক বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাজার মন্দা হয়ে পড়ায় আমদানিকারকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বন্দর ভাড়ায় বিশেষ ছাড় দেওয়ার আবেদন ছিল তাদের। কিন্তু সেই আবেদন না মেনে এখন কম দামে বাজারে গাড়ি ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে একদিকে আমদানিকারকরা যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি পুরনো গাড়ির বাজারও নষ্ট হচ্ছে।

জরুরি ভিত্তিতে বর্তমান নিলাম আগামী এক বছরের জন্য স্থগিত করা এবং এই সময়ের মধ্যে বন্দর ভাড়ায় মূল্য ছাড়ের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতি আহŸান জানান তিনি।

আবদুল হক বলেন, বন্দর ফাঁকা করা ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোই যদি তাদের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে বন্দর কর্তৃপক্ষ চাইলে নিলামে আমদানিকরকদের প্রাধান্য দিতে পারে। এতে বন্দরও লাভবান হবে আমদানিকারকরাও তাদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে নিলামে অংশ নিতেই দিচ্ছে না।

২০২০ সালে মহামারীর মধ্যেও ছয় হাজার রিকন্ডিশনড গাড়ি প্রয়োজনীয় ভাড়া ও রাজস্ব আদায় করে বন্দর থেকে ছাড়ানো হয়েছে। বাজার মন্দা পরিস্থিতির কারণে অনেকেই দুই লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে এসব গাড়ি বিক্রি করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

মোংলা বন্দরে পরিচালিত ‘বারভিডা লেভি’ আদায় কার্যক্রমে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়েও সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানান হয়।

আবদুল হক বলেন, বারভিডার বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৯ এ সাধারণ সদস্যরা এই লেভি আদায়ের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ড্রাইভিং স্কুল পরিচালনার মাধ্যমে যোগ্য চালক তৈরি করে দুর্ঘটনা কমানো, দুর্ঘটনা রোধে গবেষণাসহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে এই লেভির অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বারভিডা লেভি আদায় কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকেই স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় সৃষ্ট বিভিন্ন বিভ্রান্তির প্রেক্ষিতে কার্যক্রমটিতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। এই মহৎ এবং কল্যাণমূলক পদক্ষেপটি যাতে অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বারভিডার সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম সম্রাট ও জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য জিয়াউল ইসলাম, নাজমুল আলম চৌধুরী, ইউনূছ আলী ও মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন