লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোঁড়া গুলিতে জাহিদুল ইসলাম (২২) নামে আবারও এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে ওই সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী একটি দল গরু আনতে যায়। এ সময় বিএসএফে’র গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় জাহিদুল। গুলিতে ভারতীয় ও বাংলাদেশি আরো একজন করে গরু পারাপারকারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত জাহিদুলের লাশ বিএসএফ সদস্যরা টেনে হেচড়ে নিয়ে গেছে বলে তার স্বজনরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সীমান্ত সূত্র ও বিজিবি জানায়, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৫২ নম্বর মেইন পিলার ও সাব পিলার ৫ নম্বরের নিকট দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী ৭/৮ জনের একটি দল ভারত থেকে গরু আনতে যান। পারাপারকারী দলের সদস্যরা ভারতীয় বিএসএফে’র কৌশিক ক্যাম্প ও রতনপুর ক্যাম্পের মাঝামাঝি সীমান্তে পৌঁছলে ভারতের ১৪০ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। গুলিতে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মধ্য ইসলামপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। জাহিদুল ইসলামপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে। বিএসএফের ছোঁড়া গুলিতে ভারতীয় একজন ও বাংলাদেশি আরো একজন গরু পারাপারকারী আহত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে।
পাটগ্রামের শমসের নগর বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) এর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আজহারুল ‘সীমান্তে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী নিহতের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এঘটনায় বিএসএফ’কে কড়া প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়ে নিহতের মরদেহ ফেরত চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য গত ১০ ডিসেম্বর ভোরে ওই ইউনিয়নের ৮৪৪ নম্বর মেইন পিলার সীমান্তে বিএসএফের ছোঁড়া গুলিতে আবু তালেব (৩২) নামে গরু পারাপারকারী এক যুবক গুরুতর আহত হয়। রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’দিন পর তার মৃত্যু ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন