বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বড়াইগ্রামে দুই গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

নাটোরের বড়াইগ্রামে ৫২ একর জলকরের একটি সরকারী দিঘী থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ক্ষিদ্রি আটাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পাঙ্গির দিঘী নামের জলমহালটি ৮ লাখ ১০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেন। কিন্তু সম্প্রতি মান্নাফ, মুসা, আনোয়ার ও সুলতানের নেতৃত্বে আটাই গ্রামের লোকজন তাদেরকে দিঘীতে আসতে বাধা দেয়। একই সঙ্গে নিজেরা ফাঁস জাল ও হুইল বরশী দিয়ে মাছ মেরে নিচ্ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবারও তারা একই ভাবে দিঘীতে মাছ মারতে গেলে সমবায় সমিতির লোকজন তাদেরকে বাধা দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আটাই গ্রামের বাসিন্দারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লাঠিসোটাসহ ক্ষিদ্রি আটাই গ্রামে গিয়ে সমিতির ক্যাশিয়ার বেলাল ও সদস্য ওসমানের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় ক্ষিদ্রি আটাই গ্রামের লোকজনও এগিয়ে এলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে ক্ষিদ্রি আটাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা নিয়মানুযায়ী দিঘীটি লিজ নিয়ে তাতে মাছ চাষ করছি। লিজ মূল্য ও দিঘী পরিষ্কার করে মাছের পোনা ছাড়া ও খাবার দেয়া মিলিয়ে আমাদের প্রায় ২৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ লোকজন গায়ের জোরে দিঘীর মাছ মেরে নিয়ে যাচ্ছে। বাধা দেয়ায় আজ আমাদের গ্রামে এসে হামলা করেছে। জোরপূর্বক মাছ মেরে নেয়া ও হামলা করা প্রসঙ্গে আটাই গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, কিছু লোক মাছ ধরে, বিভিন্ন এলাকা থেকেও এসে মাছ মেরে নিয়ে যায়। তবে আজ দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা হলেও বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ সঠিক নয়।

বড়াইগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুর রহিম জানান, দুই গ্রামের লোকজন মুখোমুখি হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। মাইকে ঘোষণা দেয়ায় উত্তেজনাটা বেশি ছড়িয়েছে, তবে কোন সংঘর্ষ ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন