শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খালি ট্রাকের জট ও পণ্য চুরি নিরসনে অফিস নির্দেশনা জারি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ : বিরোধিতায় বন্দরের উপপরিচালক

রাজস্ব ফাঁকি, বন্দরে ভয়াবহ পন্যজট

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৪০ পিএম

দিনের পণ্য দিনে আনলোড করার দাবিতে ভারতীয় শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা ১ দিনের ধর্মঘটের পর পরই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি, বন্দরে ভয়াবহ পন্যজট ,ভারতীয় খালি ট্রাকের জট ও পণ্য চুরি নিরসনে আজ বুধবার এক অফিস নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ফলে একদিনে ৪০০ ট্রাক পণ্য বন্দরে প্রবেশ করে আনলোড করে আবার ভারতে ফিরে যাওয়া সম্ভব বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

কাস্টমস’র এ অফিস নির্দেশনার বিরোধীতা করছেন বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার। বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ করেছেন। ফলে রাজস্ব আদায় ও বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়তে যাচেছ। যদিও কাস্টমস’র এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, ভারতীয় ও বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন গুলো।

কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার এসএম শামীমুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে ভারত থেকে আমদানিকৃত বানিজ্যিক পণ্যচালান সংরক্ষন,পরীক্ষান ও শুল্কায়ন কার্যক্রম সহজ, দ্রæত পন্যখালাশ ,গুরুতর অভিযোগ ও চোরাচালান রোধে দেশের স্বনামধন্য ১২টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানিকারদের জন্য বন্দরের ১০টি শেড বরাদ্ধ দেয়া হয়। মোটর সাইকেল, টাটা গাড়ী, ও চ্যাসিস রাখার জন্য ৩১ নাম্বার শেড, পচনশীল পন্যের জণ্য টিটিআই, কেমিকেল জাতীয় পন্যের জন্য ৫টি শেড, মেশিনারীর জন্য ১৪টি শেড, ও অন্যান্য পন্যের জন্য ১৫টি শেড বরাদ্দ দেয়া হয়।

ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কামার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ড াইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, রাজস্ব ফাঁকি, বন্দরে ভয়াবহ পন্যজট ,ভারতীয় খালি ট্রাকের জট ও পণ্য চুরি নিরসনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ গ্রহন করছেন তাতে অনিয়ম, রাজস্ব ফাকি ব›ধ হবে, দিনের পণ্য দিনে খালাশ নেয়া সম্ভব হবে। কাস্টমস এর এ ধরনের উদ্যোগকে শুধুমাত্র বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার ব্যক্তিগতভাবে বিরোধীতা করায় বন্দরে অনিয়ম ও রাজস্ব ফাকি বাড়বে।

বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি ও অনিয়ম বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বন্দরে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও রাজস্ব ফাকি রোধে কাস্টমস এর উদ্যোগকে বন্দরের উপ পরিচালক মামুন তরফদার বিরোধীতা করে আসছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করবে। একজন ব্যক্তির কারনে গোটা বন্দরের শৃংখলা ভংগ করবে এটা আমরা কখনই সমর্থন করি না।
বেনাপেল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান জানান, বন্দরে নানা অনিয়ম , রাজস্ব ফাকি রোধ, ভারতীয় খালি ট্রাক দ্রæত ফিরে যাওয়া,খালি ট্রাকের জট ও পণ্য চুরি প্রতিরোধে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে মিটিং করেই এ আফিস আদেশ জারি করা হয়। তাছাড়া বন্দর , কাস্টমস ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন গুলোর সমন্বয়ে বন্দর পরিদর্শন করা হয়েছে। হটাৎ করে অফিস আদেশের বিরুদ্ধে বন্দরের উপ-পরিচালক অবস্থান নেয়ায় রাজস্ব আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন