দীর্ঘদিন কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন আলোচিত ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। কারাফটকে পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা তাকে বরণ করে দেন।
সাংবাদিক কাজলের ছেলে মনোরম পলক এতথ্য জানান। পৌনে ১২ টার দিকে বাবাকে নিয়ে বাসায় পৌঁছান বলে জানান পলক।
গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুই মামলায় কাজলের জামিনের আদেশ দেন।
গত ২৪ নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় কাজলকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর আগে ১৯ অক্টোবর সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলাটি করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয় কাজলের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক কাজলের পক্ষে তার আইনজীবী জায়েদুর রহমান নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করেন। এরপর আজ তিনি কারামুক্ত হলেন।
গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে ভারতীয় সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে কাজলকে আটক করে বিজিবি। অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। পরের দিন কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও কোতোয়ালী মডেল থানায় দায়ের করা অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন