জেকেজি থেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা.সাবরিনা শারমিন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন। বিচারপতি শেখ মো.জাকির হোসেন এবং বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বেঞ্চটির ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, সাবরিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সরকারপক্ষীয় ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি তারিখ ধার্য রয়েছে। সাবরিনা,আরিফুল ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী,হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।
এর আগে গত ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এই মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার প্রধান অভিযুক্ত ও বাকি ৬ জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। করোনার ভুয়া রিপোর্ট দানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চাবরিতে থাকা অবস্থায় ডা.সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায় তাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগও পাওয়া যায়।
কলেজের কক্ষে নারী-পুরুষের আপত্তিকর অবস্থানসহ নানা অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের ওপরও হামলা করে আরিফুলের লোকজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন