কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাবুল মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে এলাকায়।
বাবুল মিয়া উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের রায়পুর গোবিন্দপুর গ্রামে মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।
সোমবার রাতে ঘটনার পর থেকে নিহতের চার ছেলের মধ্যে তিনজন সোহাগ, সুমন ও সাদ্দামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশ জানায়।
জানা গেছে, বাবুল মিয়ার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর কুমিল্লা সদরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। আগের সংসারের চার ছেলে মেনে না নেওয়ায় বিয়ের ছয় মাসেও দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে পারেননি। সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। ছেলেদের বাধার মুখে সন্ধ্যায় চলে যান তিনি।
এরপর বাবার সঙ্গে ছেলে সাদ্দাম হোসেন, সোহাগ ও সুমনের ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবুল মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতেই লাশ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে কীভাবে মারা গেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক রাজিব কুমার জানান, শুনছি বাবা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। কেউ বলছে হৃদ্রোগে আবার কেউ বলছে ছেলের লাঠির আঘাতে মারা গেছে। বাবার মৃত্যুর পরও ছেলেদের খুঁজে না পাওয়ায় সন্দেহ বাড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন