এবার পেঁয়াজ, রসুন, মরিচসহ ১৪টি কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের বাইরে দেশের ইতিহাসে এই প্রথম ১৪টি কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ ঠিক করলো সরকার। গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন ক্রমান্বয়ে ৩৭টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করবে সরকার। এতে ন্যায্য মূল্য পাবেন কৃষকরা।
এদিকে এক বিপণন বিশেষজ্ঞ বলছেন, যোগান এবং চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের এমন পদক্ষেপ কার্যকর হবে না। তবে ধারাবাহিকভাবে সবকিছুই হবে বলে আশা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তার।
হাড় ভাঙা পরিশ্রমে বারো মাসেই দেখা মিলে বাহারি রং আর নানান পুষ্টিকর খাবারের বিস্তীর্ণ ক্ষেত। কিন্তু কখনো কখনা কৃষকের এই স্বপ্নভরা ফসলগুলো হয়ে ওঠে দুস্বপ্নের। উৎপাদন খরচ তুরতে না পারলে প্রতিবাদ করেন ফসলগুলোকে রাস্তায় ফেলে। যদিও খোরপোষ কৃষিতে তারা জানেন না, তাদের উৎপাদিত ফসলের ব্যয়। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম ১৪টি ফসলের উৎপাদন খরচ নির্ধারণ হচ্ছে। যদিও ধানেরটা দেয়া অনেক আগে থেকেই। এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু উৎপাদন খরচ নয়, নির্ধারণ করতে হবে বিক্রয়মূল্য। কৃষকরা এর চেয়ে কম দাম পেলে সরকার কি পদক্ষেপ নিবে তারও ঘোষণা থাকা উচিত।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের থেকে বলা হয়, গত মঙ্গলবার ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন ব্যয় চুড়ান্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চলতি বছর আলোচিত পেঁয়াজের কেজিতে উৎপাদন খরচ ১৯ টাকা ২৪ পয়সা। রসুনের ৩০ টাকা ৮৭ পয়সা, মরিচ ১৯ টাকা, সরিষা ৩৩ টাকা ৮৪ পয়সা, মসুর ৪০ টাকা ৩২ পয়সা। এছাড়া ফুলকপি, বাধাকপি,সীম, টমেটো, শসা, বেগুন, লাউ , কাঁচা পেপে ও ঢেঁড়স ফসলের উৎপাদন খরচ নির্ণয় করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন