ভারতের বিহার রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামে পৃথকভাবে দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পর এক মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরীর চোখ দুটো নষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা করেছে অভিযুক্তরা। গত সোমবার প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে বিহার রাজ্যের মুজাফ্ফরপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে চারজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই মেয়ের বাড়িতেই তাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল নির্যাতিতা। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে তার। পুলিশ জানিয়েছে, দোষীদের আটকের ব্যাপারে অভিযান শুরু হয়েছে। বিহারের মধুবনী জেলায় প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, সেখানে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর তার চোখ নষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা করেছে অভিযুক্তরা। ১৫ বছরের ওই কিশোরী বোবা ও বধির। সে যেন অভিযুক্তদের চিনিয়ে দিতে না-পারে, সেজন্যই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার চোখে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। এ ঘটনার জেরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কিশোরীকে। তবে কিশোরীর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি চিকিৎসকরা। পরিবারের লোকজন বলছে, কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিল মেয়েটি। সেখানেই তার ওপরে নির্যাতন হয়। তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় একজন। পরে সেখান থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তরা একই গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার এরছে পুলিশ। এএনআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন