দেশে পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে শনিবার পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও ৪৫ হাজার ১৮৫ ভোটারের এ পৌরসভার মেয়র পদে ইতোপূর্বেই একমাত্র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটের মাঠে উত্তাপ কিছুটা কম। তবে ৯টি ওয়ার্ডের ৮টিতে যে ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাতেই নির্বাচন যথেষ্ট সরগরম রয়েছে। এ পৌরসভার ১টি ওয়ার্ডেও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
যদিও মেয়র সহ দুজন প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়া নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তবে শনিবার ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন সহ যে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাতে এখন পর্যন্ত কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয় বলেই মনে হচ্ছে। যদিও সরকারী দলের বাইরের প্রার্থীদের অভিযোগ যথেষ্ট।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৬টি কেন্দ্রের ১২৯টি বুথের সবগুলোতেই প্রথমবারের মত ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে, তবে নির্বাচন কমিশন থেকে ইভিএম নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা সহ কেন্দ্রে ভোটারদের ডেকে ভোটদান পদ্ধতি হাতে কলমে বুঝিয়েও দেয়া হয়েছে। তবে এরপরেও বিরোধী দলের সমর্থক প্রার্থীদের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে এখনো নানা অভিযোগ রয়েছে।
পিরোজপুর পৌরসভার শনিবারের এ ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। সশস্ত্র পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি থাকছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। আনসার ও ভিডিপি’ও প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের সহায়ক শক্তি হিসেবে থাকছে। তবে ২৬টি কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ বিবচনায় নিয়ে পুলিশের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পৌর নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এ মাসের শেষে দক্ষিণাঞ্চলের আরো ৮টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন