দিনক্ষণ চূড়ান্ত, প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে আগামী ১ থেকে ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। ‘বাংলাদেশের অলিম্পিক’ খ্যাত এই গেমসের খেলা হবে দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে গেমসটি ২০২০ সালের একই সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১২ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস স্থগিত ঘোষণা করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। ঠিক এক বছর পর আলোর মুখ দেখছে দেশের বৃহৎ এই ক্রীড়া আসর। গেমসের নতুন দিনক্ষণ নির্ধারণ হলেও কমেছে ক্রীড়াবিদদের সংখ্যা। আগে যেখানে ১০ হাজার ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহনের কথা ছিল এখন সেই সংখ্যা কমছে দেড় হাজার। তবে পূর্ব ঘোষিত ৩১ ডিসিপ্লিনেই খেলা হবে। শনিবার কুর্মিটোলায় অনুষ্ঠিত বিওএ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিওএ সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। সভা শেষে বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘দেশে ভ্যাকসিন চলে আসলে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। সামগ্রিক দিক বিবেচনা করেই আমরা গত বছরের দিনক্ষণ ১ থেকে ১০ এপ্রিলই গেমসের দিনক্ষণ রেখেছি।’
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস হলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য খেলোয়াড় সংখ্যা কমবে বলে জানিয়েছেন বিওএ মহাসচিব। তার কথায়, ‘আমরা ডিসিপ্লিন সংখ্যা আগেরটা রেখে, খেলোয়াড় সংখ্যা কিছুটা কমাতে চাইছি। কারণ ডিসিপ্লিন কমালে অনেক ক্রীড়াবিদ অংশ নিতে পারবেন না।’ সৈয়দ শাহেদ রেজার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন বাংলাদেশ গেমসে প্রায় সাড়ে আট হাজার ক্রীড়াবিদ, টিম অফিসিয়াল ও খেলা পরিচালনার জন্য টেকনিশিয়ান অংশ নেবেন। গেমসের প্রস্তুতির জন্য সহসাই ফেডারেশনগুলোকে নির্দেশনা দেবে বিওএ। এ প্রসঙ্গে বিওএ’র সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির প্রধান শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসবো। অনেক ফেডারেশনের নিজস্ব সূচি রয়েছে। অনেকের নানা সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সুন্দর একটি গেমস জাতিকে উপহার দেব বলে আশাকরছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন