আরবী ভাষায় সাধারণভাবে সব ধরনের চুক্তিতে আকদ বলা হয়। আভিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন- বাঁধা, গিঁট দেয়া, অঙ্গীকার, নিজ সম্মতিতে কোন কিছু সম্পন্ন করা, এখান থেকেই ব্যক্তির ধর্মবিশ্বাসকে বলা হয় আকিদা, দৃঢ় ইচ্ছা, সংকল্প ইত্যাদি।
ফকীহগণ আকদের সাধারণ ও বিশেষায়িত উভয় ধরনের সংজ্ঞা দিয়েছেন। সুলায়মান আব্দুর রাযযাক আবু মুসতফা বলেন, আলিমগণের দেয়া সংজ্ঞা অনুসারে সাধারণ অর্থে আকদ এমন সকল বাচনিক কর্ম বুঝায়, যা কোন কিছু আবশ্যক করে। এটা হতে পারে দুপক্ষের ইচ্ছার ভিত্তিতে, যেমন কেনা-বেচা ও বিয়ে; অথবা একজনের ইচ্ছার ভিত্তিতে যেমন মানত, তালাক, দান, অসিয়্যত। উল্লিখিত সবগুলোর ব্যাপারে আকদ শব্দ প্রয়োগ করা যায়।
বিশেষ অর্থে আকদ বলতে বুঝায় দুপক্ষের দুটি কথা অথবা দুজনের ইচ্ছার ভিত্তিতে সম্পন্ন বন্ধনকে। দুপক্ষের অস্তিত্ব থাকলেই এটা আবশ্যক হয়। এক্ষেত্রে এক পক্ষ থেকে স্বতঃস্ফূত প্রস্তাব ও অন্য পক্ষ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন বা গ্রহণের সম্মতি পেতে হবে। প্রথমটিকে ইজাব এবং দ্বিতীয়টিকে কবুল বলা হয়।
বিভিন্ন মাযহাব ও আলিমদের পক্ষ থেকে আকদ-এর আলাদা আলাদা সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যেমন: হানাফীগণের মতে, আকদ হল শরীয়াতসম্মত পদ্ধতিতে কবুলের সাথে ইজাবকে সম্পৃক্ত করা, যাতে চুক্তিকৃত বস্তুর উপর এর প্রভাব অর্থাৎ শরয়ী হুকম প্রতিষ্ঠিত হয়।
মালিকীদের মতে, ইজাবকে কবুলের সাথে সম্পৃক্ত করা। শাফি’য়ীগণের মতে, শরীয়াতসম্মত পন্থায় ইজাবকে কবুলের সাথে সংযুক্ত করা।
আব্দুন নাসির তাওফীক আল আত্তার বলেন, এটা হল কবুলের সাথে ইজাবকে এমনভাবে সম্পৃক্ত করা, যাতে চুক্তিকৃত বস্তুর উপর শরীয়তের হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়।
উপর্যুক্ত সংজ্ঞাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ফকীহগণ ভিন্ন ভিন্ন শব্দে আকদের সংজ্ঞা দিলেও তাদের কথার আসল মর্ম এক। তা হল ইজাব একজনের প্রস্তাব এবং কবুল বা অপরের সম্মতির মাধ্যমে চুক্তি সম্পাদিত হয়ে যাবে। এছাড়া চুক্তি সম্পন্ন হবার স্থান বা মজলিসুল আকদ-এর প্রয়োজন রয়েছে।
ইসলামে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া ও সেই চুক্তি যথাযথভাবে রক্ষা করা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করবে। রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন, মুসলিমগণ তাঁদের শর্তাধীন। তাই চুক্তিভঙ্গ করা বৈধ নয়। রাসূলুল্লাহ স. অন্যত্র চুক্তিভঙ্গকে মুনাফিকের অভ্যাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি: যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে এবং যখন আমানত রাখা হয় খেয়ানত করে। ওয়াদা, চুক্তি ও ব্যবসায়িক লেনদেনের শর্তাদি সময়ের আবর্তনে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এজন্য মহান আল্লাহ বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঋণের আদান প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋণ গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে আর লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্র বেশকম না করে।
তিনি আরও বলেছেন, তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ, কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। এছাড়া রাসূলুল্লাহ স. ও সাহাবীগণের কর্মপদ্ধতি লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, তাঁরা চুক্তিরক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন।
উপরে সাধারণ চুক্তির যে ধারণা দেয়া হয়েছে, তার সাথে অনলাইন চুক্তির উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই। সাধারণভাবে অনলাইন চুক্তি বলতে বুঝায় অনলাইন বা ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের সাহায্যে সংঘটিত চুক্তি। অর্থাৎ এ চুক্তিতে সাধারণ চুক্তির শর্তাবলী থাকবে। সমসাময়িক ফকীহগণ অনলাইন চুক্তির বিভিন্ন পরিচয় পেশ করেছেন। নিম্নে কয়েকটি অভিমত তুলে ধরা হলো:
ড. মাজিদ মুহাম্মদ সুলায়মান বলেন, এমন ঐক্যমত্য, যা সামগ্রিক বা আংশিকভাবে ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সাহায্যে সংঘটিত হয়। মুহাম্মদ আমীন রুমী বলেন, এমন চুক্তি যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।
ড. আব্দুল ফাত্তাহ বায়্যুমী হিজাযী বলেন, এটা হল এমন সব চুক্তি, যা পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে ব্যবহার করে দূর থেকে সম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় ড. আব্দুল ফাত্তাহ চুক্তিটি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সম্পাদিত হওয়ার শর্তারোপ করেছেন। তাঁর কাছে ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে আংশিকভাবে সম্পন্ন চুক্তি অনলাইন চুক্তি হিসেবে গণ্য হবে না। কোন বিষয় নিষিদ্ধ হবার সরাসরি কোন নির্দেশনা পাওয়া না গেলে ফিকহের দৃষ্টিতে সেটা হালাল বলে বিবেচিত হয়। এ প্রসঙ্গে ইবন তাইমিয়া রহ. বলেন, জেনে রাখুন! শ্রেণি ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে যাবতীয় বিদ্যমান বস্তুর ক্ষেত্রে মূলনীতি হল, সেটি মানুষের জন্য নিঃশর্তভাবে হালাল।
এ দৃষ্টিকোণ থেকে আধুনিক যুগের ফকীহগণ প্রত্যেকেই অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির বৈধতার পক্ষে মত দিয়েছেন। আল জামেয়াতুল আযহার আশ শরীফের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে নিম্নোক্ত ফতোয়া দেয়া হয়েছে, শরীয়াতে হারাম করা হয়নি, এমন বিষয় ছাড়া লেনদেনের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো বৈধতা। সুয়ূতী আল আশবাহ ওয়ান নাযাইর গ্রন্থে বলেন, ‘শরয়ী দলিলে যতক্ষণ না কোন কিছু হারাম করা হচ্ছে, ততক্ষণ সবকিছুর মূলনীতি হলো বৈধতা।’ তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পাদিত এই লেনদেন যদি শরয়ী পদ্ধতিতে করা হয় এবং তাতে কোনোরূপ অনিশ্চয়তা, অজ্ঞতা বা প্রতারণা না থাকে, তবে সেটা শরয়ীভাবে বৈধ; এতে কোন দোষ নেই। এর কারণ হল, বর্তমান যুগে মানুষের এ ধরনের লেনদেনের প্রয়োজন রয়েছে।
জর্ডানের সরকারি ফতোয়াদানের ওয়েবসাইটে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ বলে মত দেয়া হয়েছে: শরীয়াতের মূলনীতি হলো ক্রয়-বিক্রয় বৈধ- চাই সেটা বাস্তব জগতে অনুষ্ঠিত হোক অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে হোক। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো, এই ক্রয়-বিক্রয় শরীয়াতে নিষিদ্ধ বিষয় থেকে মুক্ত থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন।
সাউদী আরবের আল লাজনাতুদ দাইমা লিল ইফতার সদস্য শায়েখ সালিহ আল ফাওযানকে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, মূলনীতি হলো ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে একটি মজলিসে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হবে। তাই আপনি যখন ক্রেতাকে চিনবেন, তার কথা শুনবেন এবং ইজাব ও আপনার পরিচিত জন থেকে কবুল পাওয়া যাবে, তখন ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হবে। আর এ মজলিসটি হুকুমগত দিক থেকে একটি ‘মজলিস’ হিসেবে গণ্য হবে। সমসাময়িক মুফতিগণের ফতোয়ায় অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ বলে প্রতীয়মান হয়। ত৭ারা প্রত্যেকেই শর্তারোধ করেছেন, শরীয়াতে হারাম- এরূপ কোন কিছু এর সাথে থাকতে পারবে না। আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় মোট চারটি শর্ত দিয়েছে। তা হল, ক্রয়-বিক্রয় শরীয়াতসম্মত পদ্ধতিতে সম্পন্ন হওয়া, তাতে গারার (অনিশ্চয়তা), জাহালত (অজ্ঞতা) এবং প্রতারণা না থাকা। গারার বলতে বুঝায়, মালিকানা অর্জিত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে এমন বস্তু ক্রয়-বিক্রয় করা। যেমন আকাশে উড়ন্ত পাখি বিক্রয় করা কিংবা পানিতে সাঁতাররত মাছ বিক্রয় করা। ইবন তাইমিয়া বলেন, গারার হলো এমন কারবার, যার পরিণাম অনিশ্চিত। এমন ক্রয়-বিক্রয় এক ধরনের জুয়া।
অন্যদিকে জাহালত বলতে বুঝায় যে বস্তুর বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি ইত্যাদি জানা যায় না, এমন বস্তু ক্রয়-বিক্রয় করা। যেমন তালাবদ্ধ কোন সিন্দুক বিক্রয় করা, যাতে ভেতরে কী আছে, ক্রেতা তা জানতে পারে না।
এছাড়া সালিহ আল ফাওযানের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়, ক্রেতা-বিক্রেতা স্থানগতভাবে দূরে থাকায় মজলিসুল আকদ বাস্তবিক অর্থে না থাকলেও বিধানগতভাবে একটি মজলিসের অস্তিত্ব থাকে। তাই আমরা নিম্নোক্ত শর্তাবলির আলোকে অনলাইন ক্রয়-বিক্রয়কে শরয়ীভাবে বৈধ বলতে পারি:
দ্রব্যটি শরয়ীভাবে হালাল এবং উপকার নেয়া যায়, এমন হওয়া; দ্রব্যটির গুণাগুণ যথাযথভাবে বর্ণিত থাকা এবং জাহালত-এর সম্ভাবনা না থাকা; দ্রব্যটির মালিকানা অর্জিত হবার ব্যাপারে নিশ্চয়তা থাকা এবং গারার-এর সম্ভাবনা না থাকা; মূল্য প্রদান অথবা পণ্য বিনিময় পুরোপুরি সুদমুক্ত থাকা; ইজাব, কবুল ও মজলিসুল আকদ বিষয়ক শর্তাবলি যথাযথভাবে পূরণ হওয়া।
প্রকৃতপক্ষে যে কোন ধরনের চুক্তি সম্পাদনে ইজাব (প্রস্তাব), কবুল (সম্মতি দান) এবং মাজলিসুল আকদ (চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার স্থান) থাকা প্রয়োজন। হানাফীগণ কেবল ইজাব-কবুল থাকাটাই যথেষ্ট মনে করেন। অনলাইন চুক্তিও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রথমে এক পক্ষ প্রস্তাব করবেন, দ্বিতীয় পক্ষ তা গ্রহণ করবেন এবং উভয়টি একটি মজলিসে অথবা অনুপস্থিত দুপক্ষের মাঝে সংঘটিত হবে। ইজাব, কবুল ও মজলিসুল আকদ সম্পর্কে ফিকহী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হলো।
সব ধরনের চুক্তিতে ইজাব সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য। দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে সর্বপ্রথম যে প্রস্তাব দেয়া হয়, সেটাই ইজাব। ওয়াহবা আয যুহায়লী বলেছেন, ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথম কথাটিই ইজাব হিসেবে গণ্য। অতএব সংজ্ঞা অনুসারে বিক্রেতা যদি প্রথমে বলে, ‘আমি বিক্রয় করলাম’ তাহলে সেটা যেমন ইজাব হবে, তেমনি ক্রেতা যদি প্রথমে বলে, ‘আমি এটার বিনিময়ে এটা কিনলাম’ সেটাও অনুরূপ ইজাব হবে। যুহায়লীর সংজ্ঞাটি ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ত হলেও যে কোন ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য।
একইভাবে মজীদ মুহাম্মদ সুলাইমান বলেছেন, চুক্তির ক্ষেত্রে ব্যক্ত প্রথম ইচ্ছাই ইজাব।
অনলাইন চুক্তির ইজাব এর ব্যতিক্রম নয়। এ প্রসঙ্গে ড. সামির হামিদ আব্দুল আযীয আল জামাল বলেছেন, আগ্রহী ব্যক্তির দূর থেকে এমন চুক্তির ইচ্ছা ব্যক্ত করা, যা শ্রবণযোগ্য অথবা দর্শনযোগ্য যন্ত্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং তাতে চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার আবশ্যকীয় সব উপাদান বিদ্যমান থাকে, যাতে এদিকে আগ্রহী ব্যক্তি চুক্তিটি সরাসরি গ্রহণ করে নিতে পারে।
সাধারণ চুক্তির ক্ষেত্রে ইজাব তথা প্রস্তাবটি মুখে বলা অথবা লিখিতভাবে প্রকাশ করা বাঞ্চনীয়। অন্যদিকে অনলাইন চুক্তির ইজাব টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইমেইল, ইন্টারনেটের কোন প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একজন অথবা একাধিক ব্যক্তিকে একই সাথে ইজাব পাঠানো যায়। সাধারণ চুক্তির ইজাবের ক্ষেত্রে বেশ কিছু মৌলিক শর্ত রয়েছে। সেগুলো হল: ইজাব অনুজ্ঞাসূচক বাক্য না হওয়া; ইজাব কবুলের মাঝে সমতা থঅকতে হবে; চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার মজলিসেই ইজাবের সাথে কবুল একত্রে পাওয়া যেতে হবে।
অনলাইন চুক্তির ইজাবের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। চুক্তির প্রস্তাব তথা ইজাবে বস্তুর উল্লেখ থাকতে হবে, যা ছাড়া চুক্তি অসম্ভব। যেমন চুক্তিতেই বিক্রয়যোগ্য পণ্য ও সেটার মূল্য নির্দিষ্ট করা। ইজাব স্পষ্টভাষায় ও এমনভাবে সুনির্দিষ্ট হওয়া উচিত, যাতে কোন ধরনের সন্দেহ ও সংশয়ের অবকাশ না থাকে। ইজাব নির্দিষ্ট ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে হবে। এটা লিখিত অথবা মৌখিক উভয়ভাবেই হতে পারে, তবে নীরব থাকলে ইজাব হবে না। কারণ ইজাব বলতেই ‘প্রথম বাক্য’ বুঝানো হয়।
লেখক : শিক্ষাবিদ, গবেষক, ইসলামী চিন্তাবিদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন