শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

প্রোটিয়া চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আজহার

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২১, ২:১৬ পিএম

করোনাকালীন বিরতি কাটিয়ে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই সিরিজেই পাকিস্তানের ঘটেছে ভরাডুবি। এর মাঝেই ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে আতিথেয়তা দিচ্ছে তারা। যদিও প্রোটিয়া চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত পাকিস্তানের সদ্য সাবেক অধিনায়ক আজহার আলী।
 
ঘরের মাঠে কাগিসো রাবাদা-কেশব মহারাজদের বিপক্ষে লড়তে ঘোষিত ২০ সদস্যের দল যেন কচি কাচার মেলা। আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় পা না ফেলানো ৯ জন আছেন দলটিতে। আর অনভিজ্ঞ দলের 'মরুভূমিতে এক পশলা বৃষ্টি' হয়ে আছেন আজহার। স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড়ের ঝুলিতে রয়েছে ৮৩ টেস্ট ৪২.৮৭ গড়ে ৬ হাজার ৩০২ রান ও ১৭ টি সেঞ্চুরি।
 
সর্বশেষ করাচী ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে খেলা টেস্টে শতক তুলে দলকে বড় জয়ের পথ দেখিয়েছিলেন আজহার। এমনকি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডেও সতীর্থদের ব্যর্থতার মিছিলে ব্যাট হাতে বেশ ভালো করেছিলেন এই ডানহাতি। একই সঙ্গে ইনজুরি কাটিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে ফিরবেন বাবর আজম। এগুলোই আজহারকে সফরকারীদের বিপক্ষে ভালো খেলতেও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে।
 
এ প্রসঙ্গে আজহার বলেন, 'আমি সেরা ফর্মে রয়েছি। আমি যখন পিচে যাই আমি আত্মবিশ্বাসী থাকছি। আর এটিই সেরা বিষয়। আমি একই ধারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বজায় রেখে বড় রান করার চেষ্টা করবো।'
 
নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান আরো বলেন, 'দলীয়ভাবে আমরা আশাবাদী যে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলবে। বাবর ইনজুরি কাটিয়ে ফিরছে। ঘরের মাঠে খেলোয়াড়রা জ্বলে উঠবে। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে ব্যর্থতার মাঝেও কয়েকজন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছে। আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। কারণ এশিয়ান দলগুলো বিদেশের মাটিতে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। কিন্তু সেখানে করা লড়াই থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।'
 
স্বাগতিক দলে অনেক তরুণ সুযোগ পেলেও সফরকারীরা তাদের পূর্ণ শক্তির বহর নিয়েই দেশে এসেছে। পেস কিংবা স্পিন দুই দিকেই তাদের রয়েছে শক্তিশালী আক্রমণ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চটাই দিতে হবে তা জানেন আজহার। যদিও স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে সিরিজ জয়ের আশা করছেন তিনি।
 
আজহার আরও বলেন,'দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে মাঠে নামা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের পেস বোলিং অনেক শক্তিশালী। স্পিনেও তাদের দলে কেশব মহারাজের মত অভিজ্ঞ বাঁহাতি রয়েছে। পূর্ণ শক্তির দল রয়েছে তাদের হাতে। নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে তাদের বিপক্ষে। স্বাগতিক হিসেবে পাওয়া সুবিধা তুলে নিতে হবে আমাদের। দর্শকদের প্রত্যাশার মিটিয়ে ঘরের মাঠে সিরিজ জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'
 
আগামী ২৬ জানুয়ারি করাচীতে প্রথম টেস্ট শুরুর মাধ্যমে পাকিস্তানের ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সফরে দুইটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন