বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আগেই বলেছিলাম আজকে প্রমাণ হয়েছে একরাম চৌধুরী একজন মাতাল। যে নেতা ওবায়দুল কাদের সারা জীবন দলের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, আজ সে নেতাকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে কটূক্তি করে মাতাল একরাম চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে গতকাল শনিবার কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা আরও বলেন, আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের কোম্পানীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৬৯ সালে ৬ দফা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। স্বাধীনতার পরে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ছিলেন।
৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দু’গ্রুপকে একত্রিত করে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। তিনি ৩০ মাস জেলে আটক অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর আরো একবার ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যখন বিমানবন্দরে শেখ হাসিনা অবতরণ করেন, তখন প্রচুর বৃষ্টি, ঝড় ও তুফান। সেদিন লক্ষ লক্ষ জনতার গগণবিদারী শ্লোগান আমরা দেখেছি, সেদিন আপনাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে আমেরিকায় গিয়েছিলাম। সে সময় নেত্রীও আমেরিকায় ছিলেন। আমি নেত্রীর সাথে দেখা করেছিলাম কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য, নেত্রী তখন বলেছিলেন আমির হোসেন আমু ও ওবায়দুল কাদের আমাকে বাংলাদেশে এনেছিলো। কাদেরের প্রতি দ¦ায়িত্ব ছিলো তাই আমি তার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব পালন করেছি। সে দিন আমি বুঝেছিলাম আমার নেতা ওবায়দুল কাদের কে নেত্রী কত ভালোবাসেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে গতকাল শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত টাকা বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়। অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে কর্মসূচি সামায়িক স্থগিত ঘোষণা করেন আবদুল কাদের মির্জা। তিনি একরাম চৌধুরীকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার, টেন্ডারবাজি, অপরাজনীতি বন্ধ, অস্ত্র উদ্ধার, জেলা কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি ঘোষণা করার দাবিতে আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতালের ঘোষণা দিলেও পরে এক তা প্রত্যাহার করেন।
এ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। স্বাধীনতাকালীন মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানীগঞ্জের ডেপুটি কমান্ডার খিজির হায়াত খান বলেন, কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে একরাম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং তার বিচার করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন