হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের (এনইসি) ডেপুটি ডিরেক্টর নিযুক্ত হয়েছেন কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত সমীরা ফজিলি। এক সময় অধিকৃত কাশ্মীরে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি চাচাতো ভাইয়ের মুক্তির জন্য মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনিই এখন আমেরিকায় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে। আগামী দিনে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সমীরা এবং তার পরিবার মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতির ঘোর সমালোচক। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করলে, ৮ আগস্ট সমীরার চাচাতো ভাই মুবিন শাহকে জন নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়। সেই সময় ওয়াশিংটনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে মুবিনের মুক্তি নিশ্চিত করেন তারা। মালয়েশিয়ায় হস্তশিল্পের ব্যবসা রয়েছে মুবিনের। ২০১৯ সালে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কাশ্মীরের বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই উপত্যকার জন্য সংরক্ষিত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিয়ে যাতে কোনও রকম বিক্ষোভ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য উপত্যকার সমস্ত প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ীদের আটক করে কেন্দ্র। সেই তালিকায় ছিলেন মুবিনও। উপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে মুবিনকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ।
তাই ভাইয়ের মুক্তির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা পরিবার। সমীরার বোন ইউসরা ফজিলি পেশায় মানবাধিকার আইনজীবী। ২০১৯ সালের নভেম্বরে আমেরিকার কংগ্রেসে বিষয়টি তোলেন তিনি। আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরকে বিষয়টি নিয়ে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান তিনি। তার পরই জানা যায়, আগ্রায় আটক করে রাখা হয়েছে তাকে। তার পরেই মুবিনের মুক্তির দাবিতে আমেরিকার কংগ্রেসে সোচ্চার হন ইউসরা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার কংগ্রেস সদস্য প্রমীলা জয়পাল। তার পরই ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়ে যান মুবিন। উপত্যকার অন্যান্যদের ক্ষেত্রে যা ঘটেনি। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন