ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই বলেছেন,ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।একটি মহল ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে।ওলামায়ে কেরামকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
শায়েখে চরমোনাই বলেন,কিয়ামতের দিন মানুষকে তাদের দলের নেতাদের সাথে ডাকা হবে।দুনিয়াতে মানুষ যেসব নেতা-নেত্রীর অনুসরণ করবে কিয়ামতের দিন ঐসব নেতা-নেত্রী বা পথনির্দেশকের সঙ্গেই তাদের হাশর হবে।কেননা পরকাল এই দুনিয়ার জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।যদি কারো নেতা সত্যপন্থী হন,তাহলে তাঁর আনুগত্যকারীও মুক্তি পাবে।আর যদি কারো নেতা বিপথগামী হন,তাহলে তাঁর অনুসরণকারীও আজাবে নিপতিত হবে। কিয়ামতের দিন কারো ওপর বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না।মানুষকে তাদের দলনেতা সহ ডাকা হবে।তখন দলের নেতার পিছনে কর্মী সমর্থকরা আল্লাহ তায়ালার সামনে হাজির হয়ে হিসাব দিতে হবে।
তিনি বলেন,মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৫০ বছর পর হক্কানি ওলামায়ে কেরামদেরকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়ে নানা গালি-গালাজ করছে।অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এদেশের ওলামায়ে কেরাম জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।যারা এখন মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে লাফালাফি করছে, এদের অধিকাংশই পাকিস্তানীদের দোসর ছিলেন। দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে মানহানিকর কথাবার্তা বলে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তারা জাতিকে কি ম্যাসেজ দিতে চায়? তা এদেশের ওলামায়ে কেরাম জানতে চায়।তিনি বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইতিহাসের পরাশক্তি নমরুদ, ফেরাউন, কারুণ, সাদ্দাদ, গৌরগোবিন্দরা রেহাই পায়নি। বর্তমানেও কেউ পাবে না। ওই উগ্রবাদী মহলটিকে এখনই চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।অন্যথায় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে এরা চরম অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাবে। ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান চরমোনাই পীর।
শুক্রবার রাত দশটায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগরের বাড়ীর দরজায় আউলিয়া নগর আতহারুল উলুম মোহাম্মাদিয়া মাদরাসা ময়দানে তিনদিন ব্যাপী তালিমী ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের বয়ানে এ সব কথা বলেন তিনি।এতে আরো বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী,চরকাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগর,রামপুরের পীর মাওলানা নাজিম উদ্দীন শামীম সহ দেশের শীর্ষ বুজুর্গ আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখগণ।দিবারাত্রি চব্বিশ ঘণ্টা চরকাদিরা ইউনিয়নের আউলিয়া নগরের এই তালিমী ইজতেমায় হাজার-হাজার মুসল্লীদের টল নামে।শনিবার আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে এ এলাকার সর্ববৃহৎ এই ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন