মাদারীপুরে ইজিবাইক চালক সুলতান বেপারী হত্যা মামলায় দুই ভাইকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই দন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, জনি বেপারী (২৫) ও শরিফুল বেপারী (৩০)। তারা রাজৈর উপজেলার সুতারকান্দি গ্রামের কুদ্দুস বেপারীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ঘটকচর থেকে গাছবাড়িয়া এলালার সুলতান বেপারীর ইজিবাইকে যাত্রীবেশে ওঠেন আসামী জনি বেপারী, শরীফুল বেপারী, শাওন জমাদ্দার ও সাব্বির হাওলাদার উঠেন। পরবর্তীতে রাত পৌনে ১০টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার আশাপাট গ্রাম হতে কালীরবাজার যাওয়ার সময় পথে নৃশংসভাবে সুলতান বেপারীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আসামীরা জনতার হাতে ধরা পড়ে।
পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। একই সাথে আটক ৪ জনকে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৪ আসামী জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন থানার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিল্টু দাস। যুক্তিতর্কের প্রক্রিয়া শেষে ও ১৪ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালতের বিচারক দুইজনের মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। একই সাথে দন্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। আসামী শাওন জমাদ্দার ও সাব্বির হাওলাদার অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় এই দুই আসামীর বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে চলমান রয়েছে। এদিকে রায়ের সন্তোষ প্রকাশ করেছন রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবি। অপরদিকে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও পরিবার।
নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম বলেন, একটি ইজিবাইকের জন্য আমাকে বিধবা করে যারা তাদের মৃত্যুদন্ডের রায় হওয়ায় খুশি। এই রায় দ্রত কার্যকরের দাবী জানাই।
মাদারীপুর জেলা ও দায়র জজ আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ৪ আসামীর দুইজনের ফাঁসি হয়েছে। বাকি দুই আসামীর বয়স অপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের বিচার চলমান রয়েছে। শিগগিরই তাদেরও বিচার হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন