বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটির মসজিদে বোমা : ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২২, ১১:৫৪ এএম | আপডেট : ১২:২৩ পিএম, ১৭ আগস্ট, ২০২২

২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে বোমা হামলা হয়। ওই মসজিদগুলোতে শুক্রবার স্থানীয়রাও নামাজ পড়তে আসতেন, বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে মোট ২৪ জন আহত হন।

সাত বছর আগে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের মামলার পাঁচ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন-নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী, বাবুল রহমান ওরফে রনি এবং জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফার।

তাদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন পলাতক আছেন, বাকিরা রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বোমা হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন।
নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনিকে সেখানে আসামি করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে গ্রেপ্তার আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততায় পায় পুলিশ।
আদালতের নথি অনুযায়ী এম সাখাওয়াত হোসেন পলাতক আছেন, বাকিরা কারাগারে।
জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।

ফারদিন ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল বগুড়ার শেরপুরে গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হন বলে পুলিশ জানায়। এ কারণে তার নাম এ মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয় ইপিজেড থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন