টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর ১২ বছরের শিশু শান্তা আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে এক যুবকের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন। সোমবার দুপুরে তিনি এ রায় ঘোষনা করেন। মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত আসামী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌধুরী মালঞ্চ মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো: মাজেদুর রহমান (২৬)।
টাঙ্গাইল নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিশেষ পিপি আলী আহম্মেদ জানান, ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌধুরী মালঞ্চ মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মো: সাদেক আলীর ১২ বছরের শিশু কন্যা শান্তা আক্তার বিকেল বেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার পরেও বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা শান্তাকে খোজাখোজির এক পর্যায়ে প্রতিবেশী ঠান্ডু মিয়ার একটি পতিত জমির ঝোপের মধ্যে গলায় উড়না পেছানো অবস্থায় ও শরীলের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্নসহ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পরের দিন নিহতের বড় ভাই মো: সানি আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ওইদিন রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মো: মাজেদুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ১১ সেপ্টম্বর মাজেদুরকে কোর্টে প্রেরণ করলে আসামী মাজেদুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মাজেদুর বলেন, সে কাঠ মিস্তির কাজ করে। কাজ শেষে ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পায় আখ ক্ষেতের পাশে শান্তা আক্তার আখের আটি বাধঁতে ছিল। এসময় মাজেদুর শান্তা আক্তারের গলায় উড়না পেচিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও হত্যা করে। পরে শান্তার লাশ তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি পতিত জমিতে ফেলে রেখে চলে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মো: ওহাব তদন্ত শেষে আসামী মাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী এর ৯ (২) তৎসহ ২০১ পেনাল কোডে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় বাদী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন