বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। এরই মধ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা দেশটিতে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টিও রয়েছে অনিশ্চয়তায়। যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ওপর নির্ভর করছে স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়টি। করোনার ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর টিকাদান কেন্দ্রে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। দেশটিতে করোনায় ক্রমেই বাড়তে থাকা আক্রান্ত আর মৃতের খবরে বাড়ছে আতঙ্ক। তাই প্রাথমিক অবস্থায় বয়স্কদের লক্ষ্য করে দ্রুতগতিতেই চলছে টিকার প্রয়োগ। টিকা নিতে আাসা এক ব্যক্তি জানান, আমরা জেনেছি যে, করোনায় বয়স্করাই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে। তাই তাদেরকেই প্রথমে টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাকেন্দ্রগুলোতে যেন তারা সহজে আসতে পারেন, সে জন্য পুরো শহরেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করোনায় প্রায় প্রতিদিনই এখনও দেশটিতে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, এখানে অনেক জটিল বিষয় আছে। শিক্ষকরা কী ভাবছে? অভিভাবকরা কী ভাবছে? যদি সংক্রমণ আবার ঘরে নিয়ে যায়? এ রকম অনেক বিষয় বিবেচনায় আনতে হচ্ছে। একটা গাইডলাইন করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেখানে শিশুদের নিরাপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনা
যাবে। সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন