শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পিলখানার শহিদ সেনাসদস্যদের শ্রদ্ধায় স্মরণ সামাজিক মাধ্যমে

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৩ পিএম

পিলখানার শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেন নেটিজেনরা। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের একযুগ পূর্ণ হয়েছে। ইতিহাসের ভয়াবহ এই দিনে শাহাদাতবরণকারী সেনাসদস্যদের অত্যন্ত বেদনার সাথে স্মরণ করলো সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

২০০৯ সালের এদিনে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হয় নৃশংসতম এই হত্যাকাণ্ড। নির্দয় জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ যায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তার। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুইদিনব্যাপী চলা এ বিদ্রোহে মোট প্রাণ হারান ৭৪ জন।

এমআই ফরাজি শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের অনেক এর অদেখা কিন্তু ২০০৯ এর আমাদের দেখা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো ২৫শে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলতে পারি?সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক।’’

আমিরহামজা মোঃ রাজিব লিখেছেন, ‘‘এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার এখনো হয়নি, জানিনা এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার হবে কবে। তবে আমি একজন নাগরিক হিসেবে চাই এর সুষ্ঠু বিচার হোক, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক।’’

হুমায়রা লিখেছেন, ‘‘মাঝে মাঝে কিছু ব্যাপার ছেড়ে দিতে হয়, কিছু দুঃখ চোখ বুজে সহ্য করে যেতে হয়, কিছু আঘাত দাঁতে দাঁত কামড়ে সবর করে যেতে হয়।কিছু ব্যাপার ইগ্নোর করতে হয়,কিছু সময় চুপ থাকতে হয়, কিছু অতীত ভুলে যেতে হয়----শুধুমাত্র এই আশায় যে একদিন আমার রব সব কিছুর প্রতিদান দিবেন। আর এত এত নিঁখুত আর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দিবেন যে আজকের ক্ষণিকের পাওয়া এই কষ্ট সেদিন আনন্দ অশ্রু হয়ে চোখ বেয়ে পড়বে বিইযনিল্লাহ্। আর এটা তো সবারই জানা আমাদের রব ছাড় দেন কিন্তু কখনো তিনি ছেড়ে দেন না। নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।”

আফসিয়া তামান্না অন্তরার মন্তব্য, ‘‘২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯। ১২ বছর আগে ঠিক এই দিনে সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ রাইফেলস তথা বিডিআরের শক্ত মেরুদন্ড ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়। ঠান্ডা মস্তিষ্কে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ৫৭ জন চৌকস, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে। ২০০১ সালের রৌমারী-পদুয়া যুদ্ধের পরাজিত শক্তিই প্রতিশোধ নিতে বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে ঘৃণ্যতম এই নারকীয় হত্যালীলা রচনা করে, যা অতীতে সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছিলো। টানা দুইদিন ধরে চলমান এই পৈশাচিকতায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান মোট ৭৪ জন। এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শুধুমাত্র কিছুসংখ্যক সেনা কর্মকর্তাই প্রাণ হারাননি, এই হত্যাকান্ড বাংলাদেশের সুদৃঢ় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চিরতরের জন্য ধ্বংস করে দিয়েছে, যার ক্ষতি গত ১২ বছরেও পোষানো সম্ভব হয়নি।’’

নাজমা আক্তার লিখেছেন, ‘‘যারা করেছিল তারা অজানা কেউ নয় অবশ্যই তাদের বিচার হবে। পরিকল্পনামাফিক এই ঘটনার সৃষ্টি করেছে। ৫৭ সেনা হত্যার জবাব তোমাদের দিতে হবে।তারা থাকলে আজকে দেশের এই অবস্থা হতো না।তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। ভালো থাকুক আল্লাহ তাদের ভাল রাখুক জান্নাত দান করুক।’’

এইচএম রাহাত লিখেছেন, ‘‘দেশের সার্বভৌমত্বের মূলে আঘাতের কালো দিবস আজ। সংশ্লিষ্ট সকলের উপযুক্ত বিচার হোক, এই আশায় কোটি কোটি দেশপ্রেমি জনতার কাতারের একজন।’’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন