মানুষের জীবনে পথ চলা একটি অনেক বড় ব্যাপার। গ্রাম কিংবা শহর যাই বলি, জীবনের প্রয়োজনে মানুষকে পথ চলতেই হয়। পথে অনেক সুখের ব্যাপার থাকে, অনেক বিড়ম্বার ব্যাপারও থাকে। আজকে আমি এরকম একটি কথা বলছি, আমরা দেখি অনেক সময় রাস্তায়, ঢাকা শহরে অথবা অন্য যে কোনো শহরেই। গণপরিবহনে উঠার পরে তরুণ যুবক কিংবা বয়ষ্ক অনেককেও দেখা যায়, যে পিঠের দিকে একটি ব্যাগ নিয়ে তারা গাড়িতে উঠে। এটাকে অনেক সময় বলা হয় ব্যাগপ্যাক, পিঠের ব্যাগ, পেছনের ব্যাগ। এই ব্যাগটি যে অন্য যাত্রীদের জন্য অন্য মানুষের জন্য অনেক সময় বিড়ম্বনার কারণ হয়। যিনি ব্যগটি বহন করেন তিনি নিজেও সেটা খেলায় করেন না। বিশেষ করে ভিড়ের সময় তিনি যখন ঘুরতে থাকেন, গণপরিবহনে উঠার পরে বাসের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সময় বসার সময় তার ব্যগটি গিয়ে একজনের মাথায় লাগতে থাকে, মুখে লাগতে থাকে, চশমায় লাগতে থাকে, বাচ্চা, শিশু-নারী সেই ব্যাগের আচরে নানাভাবে কষ্ট পেতে থাকে। মানুষ এটা বুঝে, যার হাতে ব্যাগ তিনি জানেন যে, ঘটনাটা ঘটে। কিন্তু এটা তার পাওনা মনে করে। মনে করে ব্যাগ তার পিঠে থাকবে, এই ব্যাগ কারো চোখে মুখে হাতে পিঠে ঘসা লাগবে এটা খেয়াল করার আমার দরকার নেই। আসলে কি এটা ঠিক?
চলার পথে অনেক আদব রয়েছে, চলার পথে অনেক ভদ্রতা রয়েছে, সৌজন্য রয়েছে। আমাদের উচিত সেদিকে খেয়াল করা। অন্তত আমরা যখন যে ব্যাগ বহন করব এটা যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয় আমার চলার সময় আমার আচরণের সময় নড়চড়ার সময়। আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে এরশাদ করেছেন : প্রকৃত মুসলমান পূর্ণ মুসলমান সে যার মুখ এবং হাত থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ। ব্যাখ্যা এসেছে সকল মানুষের জন্য এটা প্রযোজ্য। মুখ এবং হাত থেকে নিরাপদ মানে মুখ এবং হাতের যে কোনোরকম আচরণ থেকে নিরাপদ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পথ চলার সময় অন্যকে কষ্ট দেয়া বিড়ম্বিত করা তার গায়ে তার বিরক্তির কারণ উদ্বেগ করা থেকে রক্ষা করুন। আমরা যেন এই জায়গাগুলোতে অত্যন্ত যত্নের পরিচয় দেই এবং নিজেকে বাঁচাই অপরকে কষ্ট না দেই। আল্লাহ তৌফিক দান করুক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন