ইসলামী ঐক্য আন্দোলেনর আমির ড. মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী বলেন, ২০১০ ও ২০১২ সালে পাশকৃত জাতীয় শিক্ষা নীতির আলোকে প্রণীত ২০২২ সাল থেকে কার্যকর শিক্ষাক্রম পরিকল্পনায় স্কুলের এসএসসির ফাইনাল পরীক্ষা হতে ১০০ নম্বরের ধর্মীয় শিক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর আয়োজন পাকাপোক্ত করা হয়েছে। যদিও মনে হয় না যে, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীবর্গ জাতিকে ধর্মহীন বানানোর এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন আছেন। তিনি বলেন, স্কুলের এসএসসি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক বহাল রাখা না হলে দেশের তৌহিদি জনতাকে সাথে নিয়ে কুচক্রি নাস্তিক চক্রের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির আতঙ্কের মধ্যে দেশে হাট-বাজার, মিছিল-মিটিং, যান-বাহন সবকিছু চললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাসসমূহ খুলে দেয়ার আহব্বান জানান।
আজ শনিবার সকালে পল্টনস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মজলিশে শুরার অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে সারা দেশের জেলা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মওলানা মুহাম্মদ এরশাদ উল্যাহ ভূইয়া, প্রিন্সিপাল শওকাত হোসেন, মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কাজী আবু বকর সিদ্দিক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মওলানা এ এম এম কামাল উদ্দীন প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর আরো বলেন, শীতের মৌসুমে দেশের সর্বত্র ইসলামী মাহফিলসমূহে তরুণ সমাজের স্বতস্ফ‚র্ত উপস্থিতির জোয়ার প্রমাণ করে এদেশের ভবিষ্যৎ ইসলামের। বাংলাদেশের গণমানুষের মাঝে ইসলামের এই জোয়ার ঠেকানোর জন্য ইসলামের শত্রুরা বহুমুখি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। এর মধ্যে দেশের বৃহত্তম মুসলিম জনতার প্রাণঘাতি শত্রু, নাস্তিক ও বামরা বর্তমান সরকারের কাঁধে বন্দুক রেখে জনগণের ঈমান ও ইসলামী চেতনাকে টার্গেট করেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং ইসলামের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন