শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মুরগির দামে অস্বস্তি

রাজধানীর কাঁচাবাজার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২১, ১২:০২ এএম

ছুটেই চলেছে মুরগির দাম। হঠাৎ করেই রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম অস্থির হয়ে উঠেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে সপ্তাহের ব্যবধানে। পাকিস্তানি কক মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৭০ টাকা পর্যন্ত। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ দাম বাড়ার মাধ্যমে মুরগি এখন অনেকটাই নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির থেকেও দ্রুত গতিতে ছুটছে পাকিস্তানি সোনালী বা কক মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালী মুরগির দাম বেড়ে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর দুই সপ্তাহ আগে এই মুরগির দাম ছিল ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালী মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৭০ টাকা এবং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১২০ টাকা।

মুরগির এমন দাম বাড়ার বিষয়ে ক্রেতারা বলেন, গরুর গোশত আমাদের কপাল থেকে অনেক আগেই উঠে গেছে। এখন যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে মুরগিটাও কপাল থেকে উঠে যাবে। এত দাম দিয়ে তো আমাদের পক্ষে মুরগি কিনে খাওয়া সম্ভব না।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে রোজ রোজ গোশত খাওয়া সম্ভব না। ছেলেমেয়েদের আবদার পূরণ করতে সপ্তাহে একদিন গোশত খাওয়ার চেষ্টা করি। এ ক্ষেত্রে আমাদের ভরসা ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগির দাম কম থাকলে আমরা শান্তি পাই। আর দাম বাড়লে আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। বাড়তি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে, তাই বাড়তি দামে বিক্রি করছি। পাইকারি বাজারে এখন মুরগি কম আসছে। শুনছি খামারে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন কম হচ্ছে।

তিনি বলেন, যে হারে মুরগির দাম বাড়ছে তাতে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা হয়ে যেতে পারে। আর সোনালী মুরগির কেজি ৪০০ টাকা হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ কিছুদিন আগে যে সোনালী মুরগির কেজি ২২০ টাকা ছিল, এখন তা ৩৬০ টাকা হয়ে গেছে।
তারা আরো বলেন, ব্রয়লার মুরগির থেকে অনেক বেশিহারে সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে। এর কারণ এখন অনেক অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য সোনালী মুরগি কেনা হচ্ছে। তাছাড়া মানুষের বাইরে বের হয়ে খাবার কিনে খাচ্ছে। ফলে রেস্টুরেন্টগুলোও প্রচুর মুরগি কিনছে। আবার খামারে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন কমে গেছে। সবমিলে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়ে গেছে। মুরগির দামে অস্বস্তি দেখা দিলেও বাজারে আগের মতোই ভরপুর রয়েছে শীতের সবজি। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি বিরাজ করছে সবজির দামে। তবে বাজারে নতুন আসা ঢেঁড়স, পটল ও করোলার দাম বেশ চড়া। বাজার ও মানভেদে এই তিনটি সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
অপরদিকে আগের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শশার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাঁজরের কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফুলকপি, বাঁধাকপির ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস।

সবজির মতো সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম। খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা। এক ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৯০ টাকায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন