আচমকা কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। শনিবার আস্থা ভোটের সম্মুখীন হতে পারে সরকার। তার আগেই ইমরান খান বার্তা দিয়েছেন যে, ‘প্রয়োজনে বিরোধী আসনে বসবেন কিন্তু দুর্নীতি নিয়ে আপোষ করবেন না।’ সংখ্যা যে তার অনুকুলে নয়, কার্যত সেই ইঙ্গিতও দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানে সিনেট নির্বাচনে গোপন ব্যালটে বুধবার পরাজিত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখ। তাকে হারিয়েছেন বিরোধীদের যৌথ প্রার্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। ইমরানের দলের সাংসদরাই বিরোধী প্রার্থীর জন্য ভোট দেন। বৃহস্পতিবার দেশের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইমরান বলেন যে, তিনি দুর্নীতি নিয়ে আপোষ করবেন না। তিনি বলেন, অনেকে ভেবেছিল যে আস্থা ভোটের খাঁড়া ঝুলিয়ে তাকে দিয়ে দুর্নীতির মামলাগুলি বন্ধ করিয়ে নেবে। নিজের দলের সদস্যদেরই কার্যত চ্যালেঞ্জ করে ইমরান খান বলেন, ‘জাতীয় সংসদে প্রকাশ্য ভোট হবে। সকল সদস্যকে বলছি, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বলুন আপনারা ইমরান খানের সঙ্গে আছেন কি না। হেরে গেলে বিরোধী আসনে বসব।’
প্রায় ৩০ মিনিটের ভাষণে বারবার দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে বিরোধীরা। পুরনো মামলাগুলি খুঁচিয়ে বার করা হচ্ছে বলেই তার বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ বলে জানান তিনি। তার নিজের দলের ১৫-১৬ জন বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন ইমরান। এফএটিএফ যে সন্ত্রাসে টাকা ব্যবহার রোধের জন্য প্ল্যান দিয়েছে, সেটার জন্য আইন সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সেটা করতেও বিরোধীরা বাধা দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও গণতন্ত্রকে খাটো করার অভিযোগ তোলেন ইমরান। কারণ গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ার ফলেই ভোট কেনাবেচা হয়েছে বলে তার দাবি। বর্তমানে লন্ডনে থাকা নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন ইমরান। তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ ইমরানের। বর্তমানে ১০০ সদস্যের সিনেটে ইমরান খানের সমর্থনে মাত্র ৪৭ জন আছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে নিম্ন কক্ষে জনপ্রিয়তার কারণে তিনি আস্থা ভোটে টিকে যাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন