গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানে চলছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এরমধ্যে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গুপ্তহত্যার চেষ্টার পর দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে সেই উত্তাপ বেড়েছে আরও। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিভেদ কাটাতে মাঠে নেমেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি।
এমনকি শেহবাজ শরিফের বর্তমান জোট সরকার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে সংলাপের চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। তবে সেসব চেষ্টা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নিজেই এই তথ্য সামনে এনেছেন। রোববার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি শনিবার জানিয়েছেন, তিনি শেহবাজ শরিফের জোট সরকার এবং ইমরান খানের পিটিআইয়ের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে আগাম নির্বাচনের একটি উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি উভয় পক্ষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন, ‘কিন্তু সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট আলভি শনিবার পাঞ্জাব গভর্নর হাউসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দেশে আগাম নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। কাকতালীয়ভাবে ইমরান খানও একই দাবি জানিয়ে আসছেন।
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট আলভি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান বর্তমান সংকটের বিষয়টি সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তাদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করছেন।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বর্তমান বিভেদ দূর করার জন্য নিজের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চান। তিনি বলেন, এনএবি আইনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা ভুল ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ইমরান খান ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সময় পিটিআই প্রধানের পরামর্শ গ্রহণ করেন না জানিয়ে ড. আলভি বলেন, ‘ইমরান খান আমার নেতা এবং আমার পুরোনো বন্ধু।’
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাজের উন্নতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রেসিডেন্ট আলভি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে’। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় কোনও প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিকভাবে ভূমিকা রাখা ঠিক নয়।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দলই কোনো না কোনো সময় আগাম নির্বাচনের দাবি করেছে এবং এমনকি সুপ্রিম কোর্টও রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানের জন্য আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে।
ড. আরিফ আলভি বলেন, সংকট নিরসনের বিষয়গুলো বিচার বিভাগের কাছে পাঠানো হলেও তার (বিচার বিভাগের) সিদ্ধান্ত কেউ মানতে প্রস্তুত নয়। সূত্র : দ্য ডন, দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন