তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার নাম পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নামে প্রচলিত জনগণের কণ্ঠরোধের কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানিয়েছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন। এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, নেতৃদ্বয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটা চরম গণবিরোধী ও নিপীড়নমূলক আইন। তাই এর কোনো সংস্কার নয়, আমরা এই আইনের দ্রæত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্যতম মানবাধিকার বিরোধী দিক হলো, এর মোট ১৩টি ধারার ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে যে কোনো কিছুই আমলযোগ্য; অথচ অপরাধ প্রমাণের আগেই সেগুলো জামিন-অযোগ্য, এমনকি রকমভেদে শাস্তির মাত্রাও অতি উচ্চ। এই আইনটি প্রবর্তন করাই হয়েছে লেখক, সাংবাদিক ও বিরোধী রাজনৈতিক মতকে দমন করার জন্য। ক্ষমতায় চিরদিন থাকার বাসনা থেকেই এই আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। এ আইনের ভয়ঙ্কর দিকটি হলো, এর ৪৩ ধারায় পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার, জব্দ ও তল্লাশি করার লাগামহীন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আর এই তল্লাশি হতে পারে, কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধমূলক কিছু করছে ¯্রফে এমন সন্দেহের উপর ভিত্তি করেই। এই আইন বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ ধারা এবং তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। যার শাস্তির বিধানও দেশের আইনকাঠামোর মৌলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ আইনে মনগড়া ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানির সুযোগ রয়েছে। যা ক্ষমতাসীনদের আইনানুগভাবে বিরোধীদের দমনের সুযোগ করে দিয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ নং ধারাটি অত্যন্ত কঠোর আখ্যা দিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, এ ধারা তথ্যের অবাধ প্রবাহ, স্বাধীন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকারের পরিপন্থী।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আইন তৈরি হয় জনগণের কল্যাণের জন্য, দুর্নীতি দমনের জন্য। কিন্তু আমরা দেখছি, সরকার এ আইনটি প্রবর্তন করেছে বিরোধী মত দমন এবং দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও মাফিয়াদের রক্ষা করার জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন