মেগান মার্কেল একজন ‘আমেরিকার রাজকন্যা’ যিনি রূপকথার গল্পে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন, তবে ‘রাজপরিবারের জন্য যথাযথ ছিলেন না’। টিভি উপস্থাপিকা ত্রিশা গড্ডার্ড একথা বলেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এবং দ্য উইক দ্যাট শক দ্য রয়্যালস নামে একটি আইটিভি ডকুমেন্টারিকে বলেছেন যে, প্রিন্স হ্যারির সাথে মেগানের বিয়ে নিয়ে আটলান্টিকজুড়ে অনেক উত্তেজনা রয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে এটির অবনতি হতে শুরু করেছে, যেমন সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেস রাজতন্ত্রের অভ্যন্তরে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এবং ব্যক্তিদের সাথে তাদের যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সে সম্পর্কে একটি বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে অপরাহকে বলেন।
এই দম্পতি তখন থেকেই যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেছেন এবং রাজকীয় জীবনের প্রত্যাশা এবং ঐতিহ্য ছাড়াই ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি নতুন জীবনের জন্য রাজপরিবার থেকে সরে এসেছেন - তবে তারা সেলিব্রিটি হিসাবে এখনও জনগণের চোখে রয়েছেন।
আইটিভির রয়্যাল এডিটর ক্রিস শিপ সাক্ষাৎকারের ফলাফল সন্ধান করেছেন এবং মেগান, প্রিন্স হ্যারি এবং রয়েল পরিবারকে কোথায় রেখেছেন সে সম্পর্কে রাজকীয় মন্তব্যকারীদের জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেন যে, আমেরিকাতে তাদের ব্র্যান্ড প্রচারের ফলে এটি যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল।
ক্রিস শিপ ৬৩ বছর বয়সী টকশো হোস্ট ত্রিশাকে বলেন: ‘কিছু ক্ষেত্রে আপনি বলতে পারেন যে, হ্যারি যা করেছেন তা তার দাদীর রাজকীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করেছে এবং বিদেশে ব্রিটেনের ভাবমর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে’।
তিনি বলেন, ‘এটি কেবল বর্ণবাদ নয়, উন্নাসিকতা, কারণ আমেরিকানরা মনে করে যে, তাদের রাজকন্যা যারা বিদেশে গিয়েছিল এবং রূপকথার কোনো রাজপুত্রকে বিয়ে করেছিল এবং তাদের জন্য যথাযোগ্য ছিলেন না’।
ত্রিশা আরও বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে যে, রানী এখনও রয়েছেন, তাদের মধ্যে সবার মধ্যে সেরা, যেমনটি দাদি হিসেবে হওয়ার কথা আর বিবৃতি এসেছে তার কাছ থেকেই। ‘দাদী সবকিছু শোধরাচ্ছিলেন। রাজপরিবারের বাকী সদস্যরা এমন ছিল, ‘তারা সবাই চুপ কেন? তার বাবা এত চুপ কেন’?
আধুনিক পরিবার থেকে রাজপরিবার আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে- এ ধারণার প্রতিধ্বনি করছিলেন লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের কলাম লেখক প্যাট মরিসন। তিনি বলেন, ‘রাজতন্ত্রকে সাধারণত খুব বিশৃঙ্খল ও পুরনো হিসাবে দেখা হয় এবং হ্যারি ও মেগানের রাজপরিবার থেকে বহিষ্কার বা রাজপরিবার ছেড়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছায় আরো একটি ইঙ্গিত ছিল যে, এটি এমন একটি পরিবার যা ধরে রাখতে পারছে না’।
মেগানের অসদাচরণ তদন্তে বহিরাগত তদন্ত দল
এদিকে সানডে টাইমসের সূত্রে ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, রাজপরিবারের কর্মচারীদের ভয় দেখানোর ব্যাপারে ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে বহিরাগত তদন্তকারীদের নিয়োগ দিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। পত্রিকাটির মতে, রাজকীয় কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, অভ্যন্তরীণ তদন্তের পরিবর্তে কোনো তৃতীয় পক্ষের আইন সংস্থাকে দিয়ে বিষয়টির তদন্ত পরিচালনা করা উচিত।
ডাচেসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রাক্তন ও বর্তমান রাজকর্মীরা সা¤প্রতিক এক গোপনীয়তা আদালতের মামলায় সাক্ষ্য দিতে অক্ষম হয়েছেন, তারা এই তদন্তকারীদের সাথে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, সাসেক্স পরিবারকে এ বিষয়ে তদন্তে অংশ নিতে আমন্ত্রণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে না।
গত মাসে দুইজন রাজ কর্মচারী মেগানের বিরুদ্ধে অসম্মান করার এবং অপরজন অপমান করেছেন। তবে মেগান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সূত্র : মিরর, ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড, সানডে টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন