প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’। তার বইয়ে একের পর এক ‘বোমা’ ফাটিয়ে চলেছেন তিনি। বড় ভাইয়ের কাছে মারধরের শিকার হওয়া ও বাবার নির্মম রসিকতার কথা প্রকাশ করার পরে এবার সৎ মা ক্যামিলিয়াকে তিনি ‘ভিলেন’ বলে বসলেন! যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।
প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর পরে কুইন কনসর্ট ক্যামিলিয়াকে বিয়ে করেছিলেন রাজা চার্লস। এই বিয়েতে নাকি সায় ছিল না দুই ভাই হ্যারি ও উইলিয়ামের। তারা বাবাকে নাকি বিয়ে করতে বারণও করেছিলেন। অ্যান্ডারসন কুপারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যারিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘উনি (ক্যামিলিয়া) একজন ভিলেন। আমাদের মনে হয়নি ব্যাপারটার (চার্লসের সঙ্গে বিয়ে) আদৌ দরকার আছে। আমাদের মনে হয়েছিল এতে মন্দ বই ভাল হবে না। তবে আমি চেয়েছিলাম যেন ক্যামিলিয়া খুশি থাকেন। কেননা খুশি থাকলে উনি হয়তো কম বিপজ্জনক হবেন।’
অন্যদিকে, হ্যারির আত্মজীবনী প্রকাশের আগেই একাধিক বিতর্কিত তথ্য ফাঁস হয়েছে। জানা যায়, মেগান মার্কেলের নিন্দা করে রাজকুমার হ্যারিকে মারধর করেছিলেন তার বড় উইলিয়াম। কলার চেপে ধরে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন দাদা উইলিয়াম, এমনটাই দাবি করেছেন হ্যারি। তবে বই প্রকাশের আগে সাক্ষাৎকারে বড় ভাইয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ রাজকুমার।
পাশাপাশি বাবা কিং চার্লসের এক ‘বদ রসিকতা’র কথাও বলেছেন তিনি। হ্যারির দাবি, সেই সময় একটা গুঞ্জন ক্রমেই বাড়ছিল যে তিনি নাকি লেডি ডায়না ও মেজর হিউইটের সন্তান! এমন গুজব রটছিল বলেই মেজাজ হারিয়েছিলেন চার্লস। রসিকতার সুরে বলেছিলেন, ‘কে জানে আমি আদৌ তোমার বাবা কিনা? প্রিয় পুত্র, হয়তো তোমার বাবা ব্রডমুকে রয়েছে।’ এমন রসিকতাকে ‘বদ রসিকতা’ বলেই ব্যক্ত করেছেন তিনি। সূত্র: ডেইলি মেইল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন