শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দাদার দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ব্রিটেনে এসেছেন প্রিন্স হ্যারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২১, ৫:১৮ পিএম | আপডেট : ৫:১৮ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২১

রাজকীয় পরিচয় পরিত্যাগ করে গত বছরের মার্চে বাকিংহাম থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করেছিলেন রাজকুমার হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান। দাদা প্রিন্স ফিলিপের দাফন অনুষ্ঠানে ফের পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেনে এসেছেন ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি। রোববার ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে লন্ডনে পৌঁছান তিনি। তবে তাঁর স্ত্রী মেগান অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় দাদা শ্বশুরের অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিতে পারবেন না বলে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের তরফে জানানো হয়েছে।

আগামী ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ৩টেয় উইনসর কাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে ফিলিপের দাফন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। গতকাল রাজপ্রাসাদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা অতিমারির কারণে যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনেই ফিলিপের অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হবে। দাফন অনুষ্ঠান হবে রাজকীয় মর্যাদায়। এতে ব্রিটেনের আমজনতা শামিল হবেন না। ফিলিপ-ঘনিষ্ঠ ৩০ জন থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। রাজপ্রাসাদের তরফে জানানো হয়েছে, মেগান অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই চিকিৎসকেরা তাঁকে ক্যালিফর্নিয়া থেকে ব্রিটেনে না-যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০১৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ৩৬ বছর বয়সী প্রিন্স হ্যারি এবং তার ৩৯ বছর বয়সী স্ত্রী মেগান মার্কেল। একটি পুত্রসন্তান রয়েছে এই দম্পতির ঘরে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন হ্যারি-মেগান।
যুক্তরাজ্য ছাড়ার আগে এই দম্পতি অভিযোগ করেছিলেন, ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের প্রতি হিংসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং মনগড়া সংবাদ পরিবেশনের জন্য ব্রিটেনের একাধিক পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন হ্যারি-মেগান।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা বেটারআপে চাকরি নিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। সংস্থাটির ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার’ হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
যুক্তরাজ্য সেনাবাহিনীতে ১০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রিন্স হ্যারির। সেনা সদস্য হিসেবে আফগানিস্তান মিশনেও গিয়েছিলেন তিনি। সূত্র : বিবিসি, আনন্দবাজার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন