গত সোমবার নেপালে গিয়েছেন বাহরাইনের রাজপুত্র মোহাম্মদ হামাদ মোহাম্মদ আল-খলিফা। সেখানে তিনি অনুমতি ছাড়াই করোনাভাইরাসের প্রায় দুই হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন। এ ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনুমতি না নিয়ে তিনি কীভাবে এসব টিকা নিয়ে দেশটিতে ঢুকলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নেপালের কর্তৃপক্ষ।
নেপালে কোনো ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে পূর্বানুমতি নেয়ার প্রয়োজন। কিন্তু এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে দেশটিতে গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির এভাবে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে বাহরাইনের দূতাবাস নেপালের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে বলেছে, গোর্খা জেলার গ্রামবাসীদের অনুদান হিসেবে দিতে রাজপুত্র ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছেন। নেপাল গত ২৭ জানুয়ারি থেকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। অধিকতর ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে এখন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। আপাতত ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে ৬৫ বছরের বেশি বযসী মানুষকে।
প্রিন্স আল-খলিফার এ সফরের আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেভেন সামিটস ট্রেকের মুখপাত্র থানেশ্বর গুরাগেইন মঙ্গলবার হিমালয়ান টাইমস পত্রিকাকে বলেন, সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর রাজপুত্র ও তার সঙ্গে আসা প্রতিনিধিরা গোর্খা জেলার চুমনুরবি রুরাল মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় যাবেন। মুখপাত্র আরও বলেন, সামাগাউন গ্রামের বাসিন্দাদের দুই হাজার ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিনিধিদলের। এরপর মাউন্ট এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গ আরোহন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
নেপালের ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বলেছে, এসব ভ্যাকসিন আনার ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ বিভাগের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘এ ভ্যাকসিন কীভাবে নেপালে ঢুকল, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি আমরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ওষুধ প্রশাসন এসব টিকা আনার বিষয়ে জানে না। গতকাল সন্ধ্যায় আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আমরা শুনেছি, তারা দুই হাজার ডোজ টিকা এনেছেন। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।’ সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন