জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকি ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে ।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম এবং রাষ্ট্রীয মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহম্মদ চৌধূরী জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদীতে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান। এসময় তিনবাহিনির একটি চৌকস দল সামরিক সচিবদেও গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সামরিক সচিব বৃন্দ বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সাহাদাৎ বরনকারী সকলের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন । পরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল (অবঃ) ফারুক খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে জাতির পিতার প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় শাহাজান খান এমপি, হাবিবুর রহমআন সিরাজ , জাহাঙ্গীর কবির নানক ,এস এম কামাল হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগসহ দলীয় রাজনৈতিক নেতবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকাসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মাজার কমপ্লেক্স মসজিদ চত্তেের জাতীয় শিশু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শিশু অনুশোয়া এঞ্জেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভিডিও কনপারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু সমাবেশে সরাসরি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের ¯েøাগান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙ্গীন। বর্তমান শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। নতুন প্রজন্ম যাতে বিপদগামী না হয় সেব্যাপারে শিশুদের প্রতি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখার জন্য অবিভাবক ও শিক্ষকদের বলেন। কোনভাবে যেন তাদের উপর অন্যায় অত্যাচার ও নির্যাতন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা শিশুদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে তার বাবা মা অনেক আদর করতেন। বঙ্গবন্ধু পড়া লেখার পাশাপাশি খেলা ধুলা ও করতেন । তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন এবং ন্যায়ের পক্ষে কাজ করতেন । তিনি তার সহপাঠিদেরকে সাথে নিয়ে খাবার ভাগা ভাগি করে খেতেন। এমনকি তার মন এমন উদার ছিল যে, নিজের পোষাক খুলে বন্ধুদের দিয়ে দিতেন। তোমাদের মধ্যেও এমন গুণ থাকতে হবে। কারণ জীবনে বড় হতে হলে বঙ্গবন্ধুর মতো আদর্শ তোমাদের মধ্যে থাকতে হবে। আগামী দিনে দেশ ও জাতি গঠনে শিশুদের উদ্দেশ্যে এমন দিক নির্দেশনাশূলক বক্তব্য রাখেন প্রধানমনত্রী।
শিশু সমাবেশ শেষে এক মনোজ্ঞ সাং¯কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও মিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিরাতুন নেসা ইন্দিরা পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা সদর সহ কাশিয়ানী , মুকসুদপুর ও কোটালীপাড়ায় কবিতা আবৃক্কি, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা সহ বিবিন্ন সাংস্কৃতিক ানুস্ঠানের মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন