বর্নাঢ্য আয়োজনে দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মাধ্যমে আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গত বুধবার সকালে দূতাবাস প্রঙ্গণে মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসীদের অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
দিবসের মূল অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হয় অপরাহ্লে। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী মিসেস সালমা আহমেদের নেতৃত্বে আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, আবুধাবিস্থ জনতা ব্যাংকের সিইও-এর নেতৃত্বে ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ, আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ স্কুলের অধ্যক্ষ্যের নেতৃত্বে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তাবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মোয়জ্জম হেসেনের নেতৃত্বে সমিতির সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এরপর জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রদূত ও তার সহধর্মিনী কেক কাটেন। দিবসের আয়োজনের প্রধান অংশ ছিল আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুলের শিশু-কিশোরদের সঞ্চালনা ও অংশগ্রহনে বঙ্গবন্ধুর জীবনী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভার শুরুতে তারা এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কতৃর্ক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে।
এরপর শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশর, কলকাতার জীবন, ভাষা ও স্বাধীকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জাতির পিতার সাফল্য নিয়ে তথ্যবহুল বক্তব্য উপস্থাপন করে। তারা জাতির জনকের উপর কবিতা মনোজ্ঞ আবৃত্তি ও দেশাত্ববোধক সঙ্গীত পরিবেশন করে। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শিশুদের প্রতি তার গভীর ভালবাসার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জাতির পিতার বর্নাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তার মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত করে দেশপ্রেমী হিসেবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন, তার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন তথা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে তিনি সকল প্রসাবীকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহবান জানান।
এদিনের অন্যতম আয়োজোন ছিল দূতাবাস পরিবার ও আবুধাবিস্থ মহিলা সমিতির উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব। দূতাবাস পরিবার ও মহিলা সমিতির সদ্যস্যগণ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরণের পিঠা ও মিষ্টান্ন উপস্থাপন করেন এবং এ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সবাইকে আপ্যায়ন করান।
এ দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসবে যারা অংশগ্রহন করেছেন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদেরকে প্রশংসাপত্র ও স্থানীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে সৌজন্য পুরস্কার দেয়া হয়।
সবশেষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদ্যস্যদের রুহের মাগফিরাত ও দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন