চলতি ২০২১ সালের ০৪ জানুয়ারি প্রফেসর ড.মো. হারুনর রশীদের ভিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে শূন্য রয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদ। দীর্ঘদিন ভিসি না থাকার কারণে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে জটিলতা দেখা দিয়েছে। নতুন ভিসিপদে কে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন এটিই এখন পবিপ্রবি ক্যাম্পাস ও স্থানীয়দের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এদিকে পবিপ্রবির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্যে থেকেই একজনকে ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। সর্বোচ্চ এ পদে আসীন হতে আলোচনায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশ কয়েকজন সিনিয়র অধ্যাপক। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও বর্তমান ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামানের নাম ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। পবিপ্রবি’র সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় অধ্যাপক জামানের ব্যাপক অবদান রয়েছে। পবিপ্রবি’র শিক্ষক সমিতির চার বারের নির্বাচিত সভাপতি, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, নীল দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা গবেষনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সেক্টর কমান্ডার’স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ,বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারীসহ ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, প্রোভোস্ট ও প্ল্যানিং ডাইরেক্টরসহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. হারুনর রশীদও । পূর্ণাঙ্গ ও স্বল্পকালীনসহ মোট দুই মেয়াদের ভিসির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এর আগেও ছিলেন বিলুপ্ত কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ। বর্তমানে অবসরে থাকা সদ্য সাবেক এই উপাচার্যকে অভিজ্ঞতার আলোকে আবারও দায়িত্ব দেয়া হলে তৃতীয়বারের মতো ভিসি হয়ে রেকর্ড গড়বেন তিনি। এদিকে সদ্য সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর নামও শোনা যাচ্ছে। উপ-উপাচার্য ছাড়াও কয়েকটি অনুষদের ডিন, প্রভোস্ট, প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই পোস্টগ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিনের দায়িত্ব পেয়েছেন। অপরদিকে আলোচনায় আছেন ভাইস-চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব পাওয়া ডিন ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। সাবেক ভিসি হারুনর রশীদের আমল থেকে দীর্ঘসময় ধরে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সুদীর্ঘ সময় ধরে প্রশাসন সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এছাড়াও আলোচনায় আছেন সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড.মো.রবিউল হক, প্রফেসর আবুল কাশেম চৌধুরী, প্রফেসর জেহাদ পারভেজ ও প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক। একাডেমিশিয়ান, শিক্ষক নেতা ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে এই চার জনেরই ক্যাম্পাসে সুখ্যাতি রয়েছে। এদের মধ্য থেকেও কাউকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের লক্ষ্যে সিনিয়র অধ্যাপকদের ১০ শতাংশকে নিয়ে তালিকা করা হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগে সেই তালিকাই বিবেচনায় আছে। এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও যে কাউকে এখানে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পবিপ্রবির বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য হতেই যিনি শক্ত হাতে প্রশাসন সামলাতে পারবেন ও ক্যাম্পাসের গুণগত মান পরিবর্তনে কাজ করবেন এমন কাউকেই ভিসি হিসেবে দেখতে চান তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন