কোভিড-১৯ মহামারীতে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সংস্থাগুলোর মতোই ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো। কিন্তু গত বছরের মন্দা থেকে বৈশ্বিক অর্থনীতিগুলো বেরিয়ে আসতে শুরু করায় চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় ও উৎপাদকরা উত্তোলন কমিয়ে দেয়ায় তেলের দাম এ বছর আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
আরামকো সিইও আমিন নাসের আয়ের বলেন, ‘আমরা খুশি যে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। চীন মহামারীর আগের অবস্থার খুব কাছাকাছি চরে এসেছে। তাই এশিয়ায়, বিশেষত পূর্ব এশিয়াতে তেলের চাহিদা বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘আরও বেশি ভ্যাকসিনেসনের কারণে ইউরোপ ও আমেরিকাতেও চাহিদা আরও বাড়বে।’ বৈশ্বিক তেলের চাহিদা চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রতিদিন ৯ কোটি ৯০ লাখ ব্যারেল পৌঁছবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সউদীর তাদাউল বর্সের তথ্য অনুসারে, আরামকো ২০২১ সালে তাদের মূলধন থেকে ব্যয়ের পরিমাণ ৪০-৪৫ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে এসেছিল। ২০২০ সালে তাদের মূলধন থেকে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ২৭ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারক এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবধি তাদের নিট মুনাফা ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১৮৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন রিয়াল (৪৯ বিলিয়ন ডলার) হয়েছে, যা এক বছর আগে ৩৩০ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন রিয়াল ছিল।
গত বছরের বেশিরভাগ সময়জুড়ে, আরামকো শেয়ার উদীয়মান এবং উন্নত বাজারগুলিতে বিশ্বব্যাপী তেল সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ভালভাবে ধরে রেখেছিল। তবে তেলের দাম পুনরুদ্ধারকালে প্রতিষ্ঠানটি তার সমকক্ষদের তুলনায় ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। ২০২০ সালে তেলের দাম এক পঞ্চমাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছিল। সর্বশেষ গত শুক্রবারে ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৫৩ ডলারে বিক্রি হয়েছে। ডিসেম্বরে এই দাম ছিল প্রায় ৫১ ডলার। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন