ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ফয়েজ মিয়া (৫৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী আশরাফুল মিয়া (৩৪) নামের একজনকে গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে কসবা থানা পুলিশ। আশরাফুল কসবা উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের জমসেদ মিয়ার ছেলে। তাকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গত ১৩ মার্চ সকালে উপজেলা নিমবাড়ি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রতি পক্ষের অস্ত্রের আঘাতে ফায়েজ মিয়া (৫৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এই ঘটনায় গত ১৩ মার্চ নিহতের স্ত্রী জমিলা খাতুন বাদী হয়ে ৩৮ জনের নামে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সুদন মিয়ার দলের একই গ্রামের ফয়েজ মিয়ার ছোট ভাই রহিজ মিয়া প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। ওই হত্যা মামলায় স্বাক্ষী ছিলেন নিহতের বড় ভাই ফয়েজ মিয়া (৫৫)। ওই মামলায় বিচারিক আদালতে আগামী ৯ এপ্রিল স্বাক্ষী দেয়ার কথা ছিল ফায়েজ মিয়ার।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া জানান, গত সোমবার রাতে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় দুলু মাহাজনের বেকারীতে অভিযান চালিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুর রাজ্জাক মামলার প্রধান আসামী আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করেন। এনিয়ে ফয়েজ হত্যা মামলার দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আশরাফুল ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার অন্যতম আসামী। নিমবাড়ি গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশর অভিযান অব্যাহত। গ্রেফতার এড়াতে ঘটনায় জড়িতরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে হত্যা মামলার আসামীদের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জমশেদ মিয়ার স্ত্রী জমিলা খাতুন বাদী হয়ে গত ২২ মার্চ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নিমবাড়ি গ্রামের সুদন মিয়ার ছেলে রুস্তম (৫৫), মুস্তু মিয়ার ছেলে শামিম মিয়া ((২০) ও রতন মিয়ার ছেলে শরীফ (২৩)।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া জানান, উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। একজন আসামীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন