চলচ্চিত্রে একজন পরিশ্রমী পরিচালক হিসেবে শাহীন সুমন পরিচিত। তিনি যখন একটি সিনেমা নির্মাণ করেন, তখন তাতে নিজের শতভাগ মেধা ঢেলে দেন। ফলে সিনেমাটিতে এই মেধার প্রতিফলন দেখা যায়। দর্শকও গ্রহণ করেন। তার সিনেমার প্রতি দর্শকের আলাদা চাহিদা রয়েছে। কথার চেয়ে তিনি কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন। স্বল্পভাষী এই নির্মাতা আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার প্যানেলের সভাপতি আরেক প্রখ্যাত নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। শাহীন সুমন বলেন, চলচ্চিত্রে কাজ দিয়ে নিজের অবস্থান সৃষ্টি করতে হয়। এই কাজের সঙ্গে অনেক মানুষের সুখ-দুঃখ জড়িয়ে থাকে। টিম লিডার হিসেবে তাদের পাশে থাকা কর্তব্য। দিন শেষে একজন খেলোয়াড়কে তার পারফরমেন্স দিয়ে প্রমাণ দিতে হয়। চলচ্চিত্রের মাঠে আমিও একজন খেলোয়াড়। এফডিসিতে অসংখ্য অভুক্ত মানুষের হাহাকার আমি দেখেছি। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কত রাত নির্ঘুম কেটেছে তার ইয়ত্তা নেই। কত রাত আমার সহকর্মী পরিচালক, অন্যান্য কুশলীদের বেকারত্বে কষ্ট পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। কিন্তু আমরা ব্যস্ত হবার জন্য যা দরকার তা করতে পারছিলাম না। এ জন্য প্রয়োজন ছিলো অনেক সিনেমা নির্মাণের মানসিকতা সম্পন্ন প্রযোজকের। আমি শাপলা মিডিয়ার প্রযোজককে উৎসাহিত করেছি একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করতে। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সেলিম খান এগিয়ে এসেছেন। এতে বেকার হয়ে পড়া অনেক কলাকুশলীর বেকারত্ব কিছুটা হলেও গুছবে। এদিকে চলচ্চিত্র কর্মীরা বলছেন, শাহীন সুমনের এই উদ্যোগ চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক। এভাবে অন্য নির্মাতারা যদি প্রযোজকদের সিনেমা নির্মাণে উদ্যোগী করেন, তবে চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থা কাটতে বেশি সময় লাগবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন