ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা বন্ধ। ৬ দিন ধরে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ হচ্ছে না। এতে দুর্গন্ধে ছড়াচ্ছে। নাক চেপে চলছেন শহরের মানুষ। হেফাজতের হরতাল চলাকালে হামলা হয় পৌরসভায়। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের পর চালানো হয় লুটপাট।
পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মচারীরা জানান, ময়লা যে সরাবেন সেই বেলচা পর্যন্ত লুট হয়েছে। ঝাড়–টুকরি, শাবল, ঘামবুট, ব্লিচিং পাউডারের ড্রাম কোন কিছুই নেই। গার্ভেজ ট্রাক-ট্রলি ভাঙচুর-ধ্বংস করা হয়েছে। ৩শ’ পোর্টেবল মোবাইল ডাস্টবিন, ২শ’ পোর্টেবল হ্যান্ড ট্রলি এবং ২০টি রিকশাভ্যান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজ বন্ধ তাদের। সবমিলিয়ে পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। কোন কার্যক্রম চালানোর মতো ব্যবস্থাই নেই। পৌরসভার সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা পৌর মিলনায়তন আগুনে ভষ্মীভ‚ত হয়েছে। দেড়শ’ বছরের পুরনো এই পৌরসভা এখন নাম সর্বস্ব।
পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির বলেন, হেফাজতের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী, বিএনপি-জমায়াত এবং সদ্য অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে আমার দুই প্রতিদ্ব›দ্বীকে নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। সেসময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শাবল দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। গান পাউডার ও পেট্রোল ঢেলে পৌরভবনের সবকিছু জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। হামলার সময় ভীত সন্ত্রস্ত পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পার্শ্ববর্তী সুইপার কলোনীতে পালিয়ে জীবন বাচাঁন। তাছাড়া আমার বাসভবনেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন